বিচারপতিকে নিয়ে বিষোদগার: ব্যারিস্টার আশরাফকে মামলা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা
ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফ

শর্ত সাপেক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফের মামলা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দেশি-আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বিচারাধীন বিষয় সংশ্লিষ্ট বিচারপতি ও আইনজীবীদের নিয়ে বিরূপ কোনো লেখা প্রচার ও প্রকাশ না করার বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার করায় শর্ত সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফের মামলায় পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তবে আদালতে দাখিল করা লিখিত অঙ্গীকার নামা ভঙ্গ করলে তার মামলা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বলবৎ হয়ে যাবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা এক বিচারপতি ও আইনজীবীদের নিয়ে ব্যারিস্টার আশরাফের আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য অবিলম্বে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যারিস্টার আশরাফকে তার ফেসবুকে টাইমলাইনে থাকা আদালত অবমাননামূলক সব কনটেন্ট রিমুভ করতে বলা হয়েছে। আগামী বুধবার এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালতে আশরাফের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

এর আগে গত ৯ জুন ফেসবুক লাইভে এসে হাইকোর্টের একজন বিচারপতি ও কয়েকজন আইনজীবী নিয়ে ক্রমাগতভাবে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে তলব করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দেশের কোনো আদালতে তিনি মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বিচার বিভাগ, বিচারপতিদের ক্রমাগতভাবে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য প্রদান করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকজন আইনজীবী আদালত অবমাননার আবেদন করেন।