ডোপ টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ, আসামিদের নিয়ে হাসপাতালে বিচারক

জামিন নামঞ্জুর করায় আদালতে বিএনপি–যুবদল নেতাদের হট্টগোল

অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার জামিনের আবেদনের শুনানির সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি আদালতে বিএনপির নেতা–কর্মীরা হট্টগোল করেছেন। বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতার জামিন নামঞ্জুর করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে দলটির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।

ওই মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওবায়েদ পাঠান বলেন, ‘তিনজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করার পর কাঠগড়া থেকে বিচারকের উদ্দেশ্যে আমিই বলেছিলাম, হয় তিনজনকে জামিন দেন, নইলে সবার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে হাজতে নেন। এ সময় আমাদের সঙ্গে আসা বিএনপি নেতা–কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আমরা আদালতকক্ষের ভেতর স্লোগান দিইনি। বাইরে বারান্দায় উত্তেজিত হয়ে নেতা–কর্মীরা কথা বলেছেন। তাঁরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমার শিপন মোদকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।’

বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার আমলের সব রাজনৈতিক মামলা সম্পর্কে সরকারের ঘোষণা হচ্ছে, এগুলো প্রত্যাহার করা হবে। সেখানে জামিন নামঞ্জুর করার আদেশ আমাদের বিস্মিত করেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে নেতা–কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে হওয়া একটি মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ৩৫ জন নেতা–কর্মী রোববার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমার শিপন মোদকের আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন। আসামিদের মধ্যে নিম্ন আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত জেলা বিএনপির সদস্য আবদুস সালাম, ইসমাইল হোসেন ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তাবিউল ইসলামের জামিনের আবেদন নাকচ করে অন্যদের জামিন মঞ্জুর হয়।

এ সময় অন্য আসামিরা বিচারকের উদ্দেশে উচ্চকণ্ঠে দাবি জানান যে তিনজনের বিরুদ্ধে এ আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, নতুবা সবার জামিন নামঞ্জুর করে হাজতে নিতে হবে। আদলতকক্ষের ভেতরই তাঁরা হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় আদালতের বারান্দায় বিএনপির লোকজন স্লোগানও দেন। একপর্যায়ে বিচারক এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ওই তিনজন আসামির জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’