মায়ের আবেদনে জামিন বাতিল হল থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কন্যা তাসলিমা আক্তার ও ছেলে হামিদুল হক সোহেলের। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত নং ৮ গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, মামলার এক নম্বর আসামি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের থানা নির্বাচন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার ও তার বড় ভাই হামিদুল হক সোহেল। ১৫ দিনের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে আসামিদের মা খুরশিদা আক্তার চিকিৎসার খরচ বহনের জন্য তার নিজের সম্পত্তি বিক্রি করেন। সম্পত্তি বিক্রির অর্থ জোর করে হাতিয়ে নিতে খুরশিদা আক্তারকে মারধর করেন মেয়ে তাসলিমা আক্তার ও তার স্বামী সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা সেলিম মিয়া এবং ছেলে হামিদুল হক সোহেল।
পরে মা ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করেন দুই ছেলে-মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের নামে। আদালত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে জামিন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তিতে জামিন নামঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত।
শুনানিতে উচ্চ আদালত বলেন, ‘যে সন্তান মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে, তারা ভালো মানুষ হতে পারে না।’
দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনজন। জামিন নিয়ে আবারও মাকে বিভিন্ন হয়রানি শুরু করেন তারা।
পরে তাদের মা বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই জনের জামিন বাতিল করে দেন।
প্রসঙ্গত, সম্পত্তির জন্য মাকে মারধর করে উল্টো মায়ের নামে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি দু’টি মামলা করেন বড় মেয়ে তাসলিমা আক্তার।