মাদকবিরোধী অভিযান

মাদকবিরোধী অভিযান: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছয় জেলায় নিহত আরো ৯

 

সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে দেশের ছয় জেলায় আরও অন্তত ৯ জন গুলিতে নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সকালের মধ্যে এসব বন্দুকযুদ্ধ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য।

এর মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের গুলিতে ফেনীতে দুইজন, কুমিল্লায় দুইজন এবং নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন করে মোট ছয়জন নিহত হয়েছে।

পুলিশের দাবি, নিহতরা সবাই মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল। কারও কারও বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলাও রয়েছে।

এছাড়া মাগুরায় দুইজন এবং সাতক্ষীরায় একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ বলেছে, ঘটনাস্থলে মাদক থাকায় ওই তিনজনও মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল বলে তারা সন্দেহ করছে।

মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত এই বন্দুকযুদ্ধে গত ছয় দিনে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হল দেশের বিভিন্ন জেলায়।

এসব ‘বন্দুকুদ্ধের’ যে বিবরণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আসছে, তা মোটামুটি একই রকম। তাদের দাবি, অভিযানের সময় মাদক চক্রের সদস্যরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিবর্ষণ হয়, তাতেই এদের মৃত্যু ঘটে।

তবে বিভিন্ন সময়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে, ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় তাদের স্বজনদের।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।

মাদকের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে তা দমন করছে- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার বলেছেন, “আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা, এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স; সে সংসদ সদস্য হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা হোক, যেই হোক, ইভেন সাংবাদিক হোক, কাউকে আমরা ছাড় দেব না।”