অ্যাডভোকেটশীপ মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাবে অনলাইনে
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল

অ্যাডভোকেটশিপ এমসিকিউ পরীক্ষার অনলাইন ফরম পূরণ শুরু

অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফরম পূরণের পদ্ধতি ও সময়সূচি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। আজ রোববার (২৭ মার্চ) থেকে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে।

সারাদেশে আইনজীবীদের সনদ প্রদান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিল থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সংস্থার সচিব সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির আসন্ন এমসিকিউ (MCQ) পরীক্ষার অনলাইন ফরম পূরণ ২৭ মার্চ বেলা ১২টা থেকে ২৭ এপ্রিল রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত অনলাইনে (http://bar.teletalk.com.bd) চলবে। বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাক্টিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার এন্ড রুলস,১৯৭২ এর ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থী, যাদের ৬ মাসের শিক্ষানবিশকাল পূর্ণ হয়েছে বা ২৭ এপ্রিল এর মধ্যে পূর্ণ হবে তারা বিধি নং ৬০(১) -এর দ্বিতীয় শর্ত মোতাবেক যোগ্য আগ্রহী হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ করতে পারবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর অনলাইন ফরম পূরণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে যাবে এবং ফরম পূরণের আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

ফরম পূরণের নিয়ম ও যোগ্যতা

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপযুক্ত প্রার্থীদের নিন নিজ বার কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও সন এন্ট্রি করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামে ফরম পূরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যাদের কাছে বার কাউন্সিলের ইস্যুকৃত বৈধ (Valid) রেজিস্ট্রেশন কার্ড রয়েছে এবং আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে বিধি মোতাবেক ৬ মাসের পিউপিলেজ সম্পন্ন হচ্ছে কেবলমাত্র তারাই অনলাইন ডাটাবেইজে নিজ নিজ ফরম পূরণ প্রক্রিয়া শুরু এবং সম্পন্ন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে ২৭ এপ্রিল বিধি মোতাবেক পিউপিলেজ অসম্পূর্ণ থাকা অথবা নির্ধারিত তারিখে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ (বৈধতা) অতিক্রান্ত হওয়া প্রার্থিদের তথ্য অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। এজন্য ২৭ এপ্রিল তারিখে মেয়াদোত্তীর্ণ রেজিস্ট্রেশনধারী প্রার্থীদের বিধিমালা সাপেক্ষে রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং এসব প্রার্থীকে সত্ত্বর বার কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন শাখায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষার ফরম পূরণে ইচ্ছুক প্রত্যেক প্রার্থীকে নিজস্ব সচল মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ফরম পূরণের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করতে হবে। এই নির্দিষ্ট নম্বরটি সম্পূর্ণ এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়াকালে সচল রাখতে হবে। এই নম্বরে ফরম পূরণ, পরীক্ষার ফি জমা হওয়া প্রভৃতি বিষয়ে সময়ে সময়ে ক্ষুদে বার্তা (এসএসএম) দেওয়া হবে।

একটি নির্দিষ্ট টেলিটক নম্বর [১৬২২২ এবং ০১৫৫০১৫৫৫৫৫] হতে পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ বার্তা, ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড প্রভৃতি তথ্য প্রার্থীর স্ব স্ব মোবাইল নম্বরে প্রেরণ করা হবে।

নির্ধারিত তারিখে অর্থাৎ চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সেসব প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বহাল থাকা যেসব প্রার্থী এর আগে কোনো এনরোলমেন্ট এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি সেসব প্রার্থী এবং যাদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ২৭ এপ্রিল এর মধ্যে রি-রেজিস্ট্রেশন করবেন- এই দুই ধরণের প্রার্থী নিয়মিত (Regular Candidate) হিসেবে অনলাইন ফরম পূরণ করবেন।

পক্ষান্তরে যারা ইতোপূর্বে এক বা একাধিকবার এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ আগামী ২৭ এপ্রিল তারিখে বলবৎ থাকবে কেবলমাত্র সেই সকল প্রার্থী রি-অ্যাপিয়ার (Re-appear Candidate) হিসেবে অনলাইন ফরম পূরণ করবেন।

এছাড়া পূর্ববর্তী বর্ষের পেন্ডিং তালিকায় থাকা যোগ্য যেসব প্রার্থী আসন্ন এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদেরকে নোটিশে বর্ণিত শর্তাধীন প্রক্রিয়ায় ফরম পূরণ ও ফি প্রদান করতে হবে।

বৈধ রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী নিয়মিত প্রার্থীরা (Regular Candidate) অনলাইন ফরম পূরণের শেষ ধাপে পরীক্ষার ফি বাবদ সর্বমোট ৪,০২০ টাকা যেকোন একটি টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে জমা করতে হবে। বৈধ রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী রি-অ্যাপিয়ার (Re-appear Candidate) প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ অনলাইন ফরম পূরণের শেষ ধাপে সর্বমোট ১৬৩০ টাকা যেকোন একটি টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে জমা করতে হবে।

বার কাউন্সিলের সংশোধিত বিধি ৬০এ অনুযায়ী বিগত সময়ে যে সকল প্রার্থী অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির নৈর্ব্যক্তিক (MCQ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তৎপরবর্তীতে পর পর দুইবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন বা অংশগ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে পুনরায় অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে।

এছাড়া যেসকল প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিধি ৬০বি অনুযায়ী প পর তিনবার অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন বা অংশগ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে পুনরায় অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে।

জ্ঞাতব্য

কোন পরীক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে নিজ নামে বা পিতার নামে গরমিল/অসঙ্গতি থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
অনলাইন ফরম পূরণ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের নিজ নিজ অর্জিত সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা/ডিগ্রির ফলাফলসমূহ [এসএসসি/সমমান থেকে শুরু করে এলএলবি/বার-এট-ল’সহ সর্বশেষ অর্জিত শিক্ষাগত ডিগ্রি পর্যন্ত ১ম/২য়/৩য় বিভাগ/শ্রেণি।সিজিপিএ/গ্রেড – যেখানে যা প্রযোজ্য] সংশ্লিষ্ট সনদ/নম্বরপত্র/গ্রেড শিট অনুযায়ী সতর্কতার সাথে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরমে নির্ধারিত ফিল্ডে সঠিক ও নির্ভুলভাবে উল্লেখ/এন্ট্রি করতে হবে। ডিগ্রি অর্জনের সনসহ ফলাফল উল্লেখে কোনো প্রকার ভুলভ্রান্তি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তদ্রুপক্ষেত্রে আবেদন বাতিল হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত নয় এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারীদের প্রার্থীতা বাতিল হবে। (বার কাউন্সিল/এনরোলমেন্ট কমিটি/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন/আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী প্রার্থীরা এবং বিধি মোতাবেক অংশগ্রহণে অযোগ্য প্রার্থীরা অসত্য/জাল/অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য/কাগজপত্র জমাদানকারী প্রার্থীরা আসন্ন এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এই ধরণের প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ কোনক্রমে পেলেও এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাদের ফলাফল পরবর্তীতে নিরীক্ষান্তে বাতিল ঘোষণা করা হবে।

অনলাইনে অ্যাডমিট কার্ড (প্রবেশপত্র) সংগ্রহের সময়সূচী পরীক্ষার তারিখ, ভেন্যু ও সময় পরবর্তীতে যথাযময়ে জানানো হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিজ্ঞপ্তি বার কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.barcouncil.gov.bd) প্রকাশ করা হবে।