টাকা পরিশোধের শর্তে রবির অ্যাকাউন্ট জব্দ নিয়ে আবেদন নিষ্পত্তি

মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকির অভিযোগে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তিন দিনের জন্য জব্দ রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।

রবির কাছে পাওনা রাজস্ব এনবিআরকে পরিশোধ করবে এমন তথ্য রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপনের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ রোববার (০৪ মার্চ) এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

প্রায় ১৯ কোটি টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) থেকে সব ব্যাংকে রবির অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে চিঠি পাঠায়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি একজন অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে তাদের একটি প্রতিনিধি দল রবির করপোরেট অফিস পরিদর্শন করে। সে সময় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির সবশেষ আর্থিক বিবরণী এবং সিম বিক্রির কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়।

সেই কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রবি অপরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক, স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত ভ্যাট, কম প্রদর্শিত সিমের ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট এবং বিটিসিএলকে প্রদত্ত সেবার ওপর প্রযোজ্য অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ মোট ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৩২ টাকা নির্ধারিত সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছে।

এনবিআরের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট করে রবি। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি এনবিআরের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ তিন দিনের জন্য স্থগিত করেন।

এরপর রবির পক্ষ থেকে এনবিআরকে অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয় যে, তারা ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পরিশোধ করবে।