গাজী রাকায়েত (ছবি সংগৃহীত)

এবার গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা

নাট্যপরিচালক ও অভিনেতা গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে অশালীন কথোপকথন ও আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তিনি শ্যামপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। এর আগে ফেসবুকে ওই কথোপকথন ছড়ানো ও সম্মানহানির অভিযোগে এক নারীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছিলেন গাজী রাকায়েত।

শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে এক নারী মামলাটি করেছেন। তবে মামলাটি সরাসরি গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে নয়, বরং ওই নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত ছিল।

বাদি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার দিকে গাজী রাকায়েতের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তার সঙ্গে চ্যাট (লিখে কথা বলা) করা হয়। তখন তাকে ‘অশ্নীল, অনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতি পরিপন্থী বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব’ দেওয়া হয়। তিনি এসব আলাপ বন্ধের অনুরোধ জানালেও উত্তেজক কথাবার্তা বলা হয়। পরে ৬ মার্চ রাকায়েত ফেসবুক আইডিটি তার স্বীকার করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জানান, অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী তার এক বান্ধবীকে বিষয়টি জানালে তিনি রাকায়েতের পোস্টে জানতে চান, অ্যাকাউন্ট কবে হ্যাক হয়েছে? কোনো উত্তর না পেয়ে তিন দিন পর তিনি কথোপকথনের স্ট্ক্রিনশট ফেসবুকে প্রকাশ করেন। তখন রাকায়েত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বলেন, অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড তার পাঁচ-ছয় ছাত্রের কাছে থাকে। তাদের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

ভুক্তভোগী আরও লিখেছেন, ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিভিশন প্রযোজক সমিতি ও শিল্পী সমিতি বিষয়টি তদন্ত করার কথা বললেও কার্যত সময়ক্ষেপণ করছে। এর মধ্যে তার সেই বান্ধবীকে আপসের জন্য চাপ দেওয়ার পাশাপাশি ভয় দেখানো হচ্ছে। ঘটনাটি জানিয়ে ১৩ মার্চ তিনি পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম শাখায় অভিযোগ এবং ১৭ মার্চ শ্যামপুর থানায় জিডি করেছেন। তবে তদন্তের কোনো অগ্রগতির কথা তিনি জানতে পারেননি। উল্টো ১৬ মার্চ তার সেই বান্ধবীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গাজী রাকায়েত।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গাজী রাকায়েত বলেন, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল জানানোর পরও বিষয়টি নিয়ে এভাবে কথা বলা দুঃখজনক। তবে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ক্রিনশট ছড়িয়ে তার সম্মানহানি করায় তিনি আদাবর থানায় একটি মামলা করেন। তাছাড়া অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের তিনটি সংগঠন বিষয়টি তদন্ত করছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না।