বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলার জামিন আবেদন শুনতে পারবে নিম্ন আদালত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পূর্বে সাইবার ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা জজ আদালত জামিন আবেদন শুনানি ও নিষ্পত্তির করতে পারবে মর্মে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে অভিযোগপত্র দাখিল হলে জামিন শুনানির একমাত্র এখতিয়ার থাকবে সাইবার ট্রাইব্যুনালের।

এ সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এই রায় দেন।

এই রায়ের অনুলিপি দেশের সকল জেলা জজ, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠানোর জন্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় আসামির জামিন আবেদন গ্রহণ করা এবং না করার প্রশ্নে নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় তা গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। আদালত ওই দুই বিচারককে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।

গত ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মুহাম্মদপুর থানার আহমেদ সবুজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দিয়েছিলেন ওই যুবক। প্রথমে মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে তা না-মঞ্জুর হয়। পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন আহমেদ সবুজ। দায়রা জজ আদালত ওই বছরের ১৭ নভেম্বর জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেনি। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ওই যুবক। গত ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। ওই আপিলের শুনানিকালে গত ১৩ মার্চ হাইকোর্ট ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল ও মাগুরার জেলা ও দায়রা জজের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা তলব করে। গত বুধবার (২১ মার্চ) ওই দুই বিচারক হাইকোর্টে নিজ নিজ ব্যাখ্যা লিখিত আকারে দাখিল করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) হাইকোর্ট আপিল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।