বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৩ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক মাহমুদুল কবির এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়া ও মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন বিচারক।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়া অন্য একটি মামলায় কারাগারে রয়েছে। আমরা বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছি। আদালত শুনানি শেষে পরবর্তী অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করে দেন।’
এর আগে, একাধিকবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করা হলেও আসামিপক্ষের আবেদনে শুনানি পিছিয়েছে। সর্বশেষ গত ১১ মার্চ এই মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি করতে আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরে ২০০৮ সালের ৫ মে দুদক এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন ও রুল জারি করেন। পরে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের ওপর হাইকোর্টের জারি করা রুল খারিজ করে দেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।