সৌদি নারীদের অভিভাবকত্ব আইনে পরিবর্তন আসছে

ঐতিহাসিক সংস্কারের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে গাড়ি চালানোয় সৌদি নারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। এখন তারা চাকরি হিসেবে চালক হওয়ার কথাও ভাবছেন। কিন্তু সত্যিকারের চালক হিসেবে সমাজে টিকে থাকতে হলে পুরুষের অভিভাবকত্বের অবসান হওয়া দরকার। এখন সেই লক্ষ্যেই রিয়াদ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক রাজকন্যা।

আরবি ভাষার দৈনিক পত্রিকা ওকাজকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে গ্লোবাল মেইল। খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ক্রীড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আন্ডার সেক্রেটারি রাজকন্যা রিমা বিনতে বন্দর বিন সুলতান আল সৌদ। তিনি বলেছেন, সৌদি নারীদের এখন আর চাকরি, গাড়ি চালানো বা পড়াশোনার জন্য অনুমতির দরকার পড়বে না।

নারীদের গাড়ি চালানোর মতো কিছু অধিকার দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজকন্যা রিমা বলেন, সৌদি নারীদের আরও অনেক অধিকার দেওয়া হবে। সৌদি আরবে কোনো নারী মন্ত্রী নেই। নারীদের যাতায়াত, বিয়ে, এমনকি অস্ত্রোপচারের সময়ও পুরুষের অনুমতি প্রয়োজন হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে সৌদি নারীদের একটি অংশ। তাদের ভাষায়, এই আইনের মাধ্যমে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে আছে। কট্টর ইসলামি শাসনব্যবস্থার তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরবে নারীদের জন্য অভিভাবকত্ব আইন প্রচলিত রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী নারীদের ঘরের বাইরে বের হওয়াসহ অন্য কাজের আগে অভিভাবকের অনুমতির দরকার পড়ে। গত বছর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে সৌদি যুবরাজ এক সংস্কার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এর আওতায় দেশটিতে মে মাসে প্রথমবারের মতো গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছেন নারীরা, যা কার্যকর হয়েছে ২৪ জুন।