সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আইনজীবী বশির আহমেদ

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি বন্ধে রিটের আদেশ মঙ্গলবার

যেকোনও পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কর্মসূচি বেআইনি ঘোষণার দাবিতে করা রিটের আদেশ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার (১৫ জুলাই) রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসা একটি মহান সেবামূলক পেশা। এই সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিগণ মানুষের জীবন মৃত্যু নিয়ে চিকিৎসা করেন। চিকিৎসাকালীন সময়ে কর্মবিরতির নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ও অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন ও রিএজেন্ট ব্যবহার করা হয়। কিছু ছবি আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হয়। তাছাড়া আদালতের সামনে নিম্ন বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়-

  • ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্রাকটিস এবং প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ল্যাবরেটরিস অর্ডিন্যান্স ধারা ১৪ এবং ১৬ গত ৩৬ বছরের পুরোনো চিকিৎসা ব্যায় সিডিউল রিভাইজ চেয়ে এবং নতুন করে চিকিৎসা ব্যায় সিডিউল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা।
  • হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার না করে বাণিজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হচেছ
  • তাছাড়া, গরীব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে ৩০ সিটের আই. সি. ইউ এবং সি. সি. ইউ স্থাপনের আবেদন

এই সকল আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী মঙ্গলবার আদেশ প্রদান করবেন জন্য সময় নির্ধারণ করেন বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।

এর আগে বুধবার সকালে (১১ জুলাই) হিউম্যান রাইটস লইয়ার্স এসোসিয়েশন এর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী বশির আহমেদ রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।

রিটে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি ডাকা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। পাশাপাশি রিটে সব জেলা সদরের হাসপাতালগুলোয় কমপক্ষে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ অথবা সিসিইউ ইউনিট বসানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসাসেবা একটি মহান পেশা। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর সম্পর্কও জড়িত। এ পেশায় যারা কাজ করেন, তারা কিছু হলেই কর্মবিরতির ডাক দেন। সাধারণ মানুষকে এভাবে জিম্মি করে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া বেআইনি। এ কারণে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।’