আনসার বিদ্রোহ: খালাসপ্রাপ্তদের চাকরিতে পুনর্বহাল নিয়ে রায় ২ আগস্ট
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিলুপ্ত ধারায় মামলা না করার নির্দেশ

১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিলুপ্ত হওয়া ১৬(২) ধারায় মামলা গ্রহণ না করতে পুলিশের মহাপ‌রিদর্শক‌কে (আই‌জি‌পি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অস্তিত্বহীন এ আইন দিয়ে যেন জনগণকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি না করা হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২৩ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

দেশের বিভিন্ন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ওই ধারার করা মামলায় আসামিদের আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

ফরহাদ আহমেদ বলেন, ১৬(২) ধারাটি বিলুপ্ত। এরপরও এ ধারায় মামলা হচ্ছিল। আজকে এ রকম তিনটি জামিন আবেদন ছিল। সেগুলো আবেদনের শুনানিতে আদালত বিলুপ্ত এই ধারায় মামলা না নিতে পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ বলেন, বিলুপ্ত হওয়ার আগে আইনের ১৬ ধারায় ব্যাপারটি ছিল প্রিজুডিস অর্থাৎ অপরাধ সংগঠনের আগে অপরাধ করার চেষ্টা। যেমন কোনো অপরাধ সংগঠিত করার আগে গোপনে সলা-পরামর্শ, ষড়যন্ত্রের মতো বিষয়।

জানা গে‌ছে, ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পরে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ একটি অধ্যাদেশ দিয়ে চুয়াত্তরের আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল করেন। যা বিএনপি ১৯৯১ সালে সংসদে পাস করেছিল। এরপর ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে ‘ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক’ (প্রধানত সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী) কাজ থেকে বিরত রাখতে ১৬ ধারাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এই অধ্যাদেশসহ ১২২টি অধ্যাদেশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে পেশ করা হয়, কিন্তু তা পাস হয়নি। ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল অবস্থায় থেকে যায়।