রাজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুলের চূড়ান্ত শুনানি ১৪ নভেম্বর

দুই বাসের চাপায় হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রাজীব হোসেনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিআরটিসি’র পক্ষে শুনানি করেন মুনিরুজ্জামান। স্বজন পরিবহনের পক্ষে শুনানি করেন এসএম শফিকুল ইসলাম বাবুল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে রুলের শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ সংক্রান্ত কমিটি হাইকোর্টে যে প্রতিবেদন কমিটি দাখিল করেছেন সেই প্রতিবেদনের কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব যে মারা গেছে। আর বিআরটিসি ও স্বজন পরিহন দুই বাসের চালকদের লাইসেন্স ছিল না। বড় গাড়ি চালানোর যে লাইসেন্স থাকা দরকার, সেটি ছিল না। তাদের হালকা যানবাহন চালনার লাইসেন্স ছিল।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল দুই বাস চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো শিকার হন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব হোসান। ওই ঘটনায় দুই বাসের চাপে হাত কাটা পড়ে রাজীবের। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

হাইকোর্ট অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি এ বিষয়ে রুল জারি করেন। এমনকি রাজীবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহন মালিক এবং বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইন সংশোধন বা নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। সে রুলটি শুনানির জন্য সোমবার (১৫ অক্টোবর) দিন নির্ধারণ করলেন হাইকোর্ট।