গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে এবার চাঁদাবাজির মামলা

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগেও মামলা হয়েছে। ঢাকার আশুলিয়ার পাথালিয়ায় জমি বিক্রিতে বাধ্য করার চেষ্টা এবং এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তির করা এই মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জাফরুল্লাহসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে বলে আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক জানিয়েছেন। ওসি রিজাউল হক বলেন, “এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, পাথালিয়া মৌজার প্রায় চার একর ২৪ শতাংশ জমি তিনিসহ আরও দুজন ২০০৩ সালে কিনেছিলেন। ওই জমি নেওয়ার জন্য জাফরুল্লাহ ও তার লোকজন তাকে নানাভাবে ‘ভয়ভীতি‘ দেখিয়ে আসছে।

“তারা নাম মাত্র মূল্যে বিক্রির জন্য আমাকে এবং আমার শরিকদের চাপ দেওয়ার পাশাপাশি জীবননাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।”

আলী বলেন, “তারা আমাদের জমি থেকে জোর করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাটি কেটে নিয়ে গেছে। তাদের অত্যাচারে আমি এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এজন্য আমার বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছে।”

এসব ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া থানায় আগে একাধিক জিডি করেন বলেও দাবি করেন আলী।

সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবরেরেএক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এজাহারে বলা হয়, “ওইদিন সকালে মোহাম্মদ আলী ও তার শরিক আনিছুর রহমান জমিতে থাকাবস্থায় জাফরুল্লাহর সহযোগী দেলোয়ার হোসেন (৫৭), সাইফুল ইসলাম শিশির (৫৫) এবং আওলাদ হোসেন (৪৮)সহ ৩/৪জন জমিতে ঢুকে জানায়, তারা জাফরুল্লাহ নির্দেশে এসেছে।

“তারা জমি তাদের কাছে বিক্রির জন্য বলে। সেই সঙ্গে বলে, এই জমি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পূর্বে না দেওয়ার কারণে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা হুমকি দেয় এবং জমির কাঁটাতারের বেষ্টনি, সাইনবোর্ড ও একটি গেইট ভাংচুর করে।”

উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত গণবিশ্ববিদ্যালয় সাভারের আশুলিয়া থানা এলাকায় অবস্থিত।