সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলন

জামিন নামঞ্জুর, ফের কারাগারে এহছানুল হক মিলন

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছে চাঁদপুরের দু’টি আদালত।

আজ সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মিলনের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সারওয়ার আলম আদালতে ১৪টি মামলায় জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত ২টি মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আর ১২টি মামলার আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানান আদালত এরপর তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মো. কায়সার ইউসুফের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানেও ২টি মামলার শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতের মিলনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি ছাইয়েদুল ইসলাম বাবু, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, রেজা পাহলভী শেলি।

মিলনের আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিলনের বিরুদ্ধে ২৬টি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার আসামি হয়ে ২০১০ সালে তিনি চাঁদপুর আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি দীর্ঘ সময় জেলে থাকার পর জামিন পেলেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসা এবং ওমরার পালনের জন্য তিনি দেশের বাইরে যান। এরপরও তার বিরুদ্ধে হয়রানি মামলা থেমে থাকেনি। চাঁদাবাজি, ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি, থালাবাসন চুরি, পুকুরের মাছ চুরি, হত্যা, হত্যার চেষ্টা ইত্যাদি মনগড়া মামলা দেওয়া হয়। যার কোনও ভিত্তি নেই। আমরা বারবার তার জামিন চেয়েও পাইনি।

তিনি বলেন, ‘মিলন দেশের একজন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। কচুয়া-১ আসন থেকে তিনি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন। কিন্তু এ অবস্থায় তিনি সে পরিবেশ পাবেন কি না। প্রায় সবগুলো মামলাতেই মিলন জামিনে ছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য তিনি বিদেশে গেলে আর নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি।

এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে সাবেক মন্ত্রী মিলনকে গোয়েন্দা পুলিশ চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরীর বিএনপি নেতা শাহ আলমের বাসায় থেকে আটক করে। শুক্রবার ১৭টি ওয়ারেন্টভুক্ত মামলার আসামি মিলনকে ৩টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সফিউল আজম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে গত রবিবার দুপুরে ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর কচুয়া উপজেলার একটি মারামারি সংক্রান্ত মামলায় মিলনের অনুপস্থিতিতে জামিন শুনানির পর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

বর্তমানে চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে মিলনের নামে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মামলায় মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।