অধ্যাপক জসিম আলী চৌধুরী

দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রশ্নে বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহার

জসিম আলী চৌধুরী:

বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনেক দিন ধরেই আমাদের উচ্চ আদালতের জন্য এক গোলক ধাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৬৬(২)(ঘ) এর মূল কথা হচ্ছে নৈতিক স্থলন জনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদে কেউ দণ্ডিত হলেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার হারাবেন। ইতিমধ্যে কেউ নির্বাচিত হয়ে গেলে তিনি পদ হারাবেন। সংবিধানের এই আপাত সহজ বিধানটি অবশ্য আমাদের জন্য আর সহজ নেই। থাকার কথাও নয়। এটি আমার আপনার মতো আমজনতার আইন না। সংসদ নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর হোমরা-চোমরা নেতা-নেত্রী অংশগ্রহণ করেন। অতএব, আইনের সাথে রাজনীতিও পেঁচিয়ে গেছে। ৬৬(২)(ঘ) এর পেঁচগি মূলত দুইটা।

এক.
ফৌজদারি বিচারিক আদালতে শাস্তি হয়তো আপনি পেলেন। আপনি আপিল করতে পারেন অথবা একেবারে শেষে গিয়ে রিভিউ দরখাস্ত দাখিল করতে পারেন। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিকরা দাবী করেন আপিল বা মামলার একেবারে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচার আদালতে দোষী সাব্যস্ত এবং সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তিকে আপনি দোষী বা দণ্ডিত বলতে পারবেন না।

দুই.
ধরা যাক একেবারে চূড়ান্ত দোষী সাব্যস্ত বা দণ্ডিত হয়েই গেলেন। তখন আবার আপনি বলতে পারেন, এই দোষ মামুলি দোষ, “নৈতিক স্থলন জনিত অপরাধ” না। প্রথম পেঁচগি – সাজার চূড়ান্ততা – নিয়ে কয়েকটি ঘটনা স্মরণ করা যাক।

ঘটনা-১
আপিল নিষ্পত্তির আগে পর্যন্ত নিষ্পাপ ধরে নেয়ার দাবিটি আসে সিরাজুল হক বনাম নূর আহমেদ (১৯ ডিএলআর ৭৬৬) মামলায়। ভদ্রলোক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজের মেম্বার হন। মেম্বার হিসেবে ভোট দিয়ে আরেকজনকে নির্বাচিতও করে দেন। ওই সময়ে উনার একটি ফৌজদারি দণ্ডের আপিল ঝুলে ছিল। উচ্চ আদালত বলেন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উনি নির্দোষ (প্যারা ৫, পৃষ্ঠা ৭৬৮)। পরে দেখা যায় আপিলে উনার দন্ড বহাল থাকে। প্রশ্ন আসে উনার দেয়া ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তি কি এখন পদ হারাবেন? দণ্ডিত ব্যক্তির ভোটটি ছিল একেবারে বিজয় নির্ধারক ভোট। আদালত বলেন, সাজার কার্যকরিতা আপিলের আগে থেকে পিছনে গিয়ে কার্যকর হবে না। সুতরাং যিনি নির্বাচিত হয়েই গেছেন উনার কোন সমস্যা নেই। এখানে যে বিষয়টি যুক্তিতে আসে না সেটি হল, সাধারণ নিয়মে দণ্ডিত ব্যক্তি আপিল করার আগে জেলে থেকে আপিল করার কথা। আপিলের আগে যে পরিমান জেল খেটেছেন সেটি আপিলের পর চূড়ান্ত হওয়া জেল থেকে বাদ যাওয়ার কথা। এগুলো যদি পেছন থেকে কার্যকর হয় তাহলে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহেবের গদি ঠিক থাকে কেমনে? আদালত সাধারণত সেটেল্ড হয়ে যাওয়া প্রশাসনিক বিষয় আর ঘাটতে চান না।

ঘটনা-২
১৯৯৬ সাল। এরশাদ সাহেব মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জনতা টাওয়ার মামলার দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল হাইকোর্ট বিভাগে অপেক্ষমাণ। এরশাদের দণ্ড এবং সাজা কোনটাই স্থগিত হয়নি। শুধু আপিল বিবেচনাধীন আছে। রিটার্নিং অফিসার প্রার্থিতা বহাল রাখেন। মামলা হলো। মঈদুল ইসলাম বনাম ইলেকশন কমিশন (৪৮ ডিএলআর (এডি) ২০৮)। হাইকোর্ট বিভাগ বলেন, আপিল নিষ্পত্তির আগে কেউ দণ্ডিত না (প্যারা ৫, পৃষ্ঠা ২০৯)। আপিল বিভাগ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর এগুলো নির্বাচনী বিষয়। নির্বাচনী বিষয় নিয়ে রিট চলে না (প্যারা ৭, পৃষ্ঠা ২০৯)। শাস্তির চূড়ান্ততা নিয়ে আপিল বিভাগের কোন মন্তব্য নেই বলে মনে হতে পারে। তবে বিচারপতি মোস্তফা কামাল একটু ইশারা দিয়ে বলেন, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় হয়ত রিটার্নিং অফিসার শাস্তিকে চূড়ান্ত মনে করেন নি। তিনি সেরকম কিছু মনে করলে সেটার বিরুদ্ধে রিট চলে না।

ঘটনা-৩
২০০০ সালের দিকে এসে আপিলে এরশাদ হেরে গেলেন। এরশাদ তখন বিএনপি জোটে। সরকারে আওয়ামী লীগ। আদিষ্ট হয়ে সংসদ সচিব আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী প্রজ্ঞাপন জারি করে দিলেন। এরশাদ সাহেব আর এমপি নেই। এবার এরশাদের মামলা। হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বনাম আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী (২০০১ ডিএলআর ৫৬৯)। এরশাদ বলছেন, আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে তো কি হয়েছে? আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন তো আছেই (প্যারা ৪, পৃষ্ঠা ৫৭১)।

বিচারপতি জয়নুল আবেদীন (পরে যিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত করে “বিদেশী শক্তি”র সংশ্লিষ্টতা পেয়েছিলেন) প্রশ্ন করেন, যদি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে কাউকে বাদ দিয়ে দিই তাহলে সেখানে উপনির্বাচন হতে পারে। উপনির্বাচনে অন্য কেউ জয়ী হতে পারেন। পরে মূল ব্যক্তির সাজা বাতিল হয়ে যেতে পারে। তখন উপনির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তির কি হবে? লক্ষ্য করুন, এরশাদের শাস্তি কিন্তু হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে বহাল হয়েছে। তিনি এখন শুধু রিভিউ করেছেন। যদি একেবারে মাথার উপর ন্যায়বিচারের আসমান ভেঙে না পরে তাহলে রিভিউতে শাস্তি আমূল বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা কতদূর সেটা আইনজীবী মাত্রই অনুধাবন করেন। তথাপি বিচারপতি জয়নুল আবেদীন প্রশ্নটি তুলেন। জবাব দিতে গিয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমির কিছুটা গুলিয়ে ফেলেন। মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বনাম নির্বাচন কমিশন (৫০ ডিএলআর ৪১৭) মামলার বরাত দিয়ে তানিয়া আমির বলেন, যিনি উপনির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি এটা জেনেই অংশ নেবেন যে আগের ব্যক্তি চূড়ান্ত খালাস পেলে উনার পদ ঠিকবে না (প্যারা ১৮, পৃষ্ঠা ৫৭৪)। এ যুক্তিটি বিচারপতি জয়নুল আবেদীন গ্রহণ করেন নি (প্যারা ২০, পৃষ্ঠা ৫৭৪)। বিচারপতি জয়নুল আবেদীন সিরাজুল হক বনাম নূর আহমদ (উপরে বর্ণিত ঘটনা এক) মামলার রেফারেন্স দিয়ে বলেন, এমন কি রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার আগেও এরশাদকে দোষী বলা যাবে না (প্যারা ২১ ও ২২, পৃষ্ঠা ৫৭৫)। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সিরাজুল হক বনাম নূর আহমদ মামলার বরাত দিয়েই ব্যারিস্টার তানিয়া আমির বলতে পারতেন, উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে যাওয়া ব্যক্তি পদ হারাবেন না। কারণ নূর আহমদ মামলার নির্বাচিত হয়ে যাওয়া চেয়ারম্যান যেভাবে সময়ের সুবিধা পেয়েছিলেন এ মামলার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নতুন নির্বাচিত ব্যক্তির সে সুযোগ পাওয়া উচিত। আপাতত এগুলো থাক। এরশাদের মামলায় আসি।

একই বেঞ্চের অপর বিচারক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) বলেন, সিরাজুল হক মামলাটি আইনের সঠিক প্রতিফলন নয়। তাঁর মতে, ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদে “দন্ড”র কথা বলা আছে। আমরা নিজেরা এক কদম বাড়িয়ে এটাকে “চূড়ান্ত দন্ড” বলতে পারি না (প্যারা ৪৭, পৃষ্ঠা ৫৮৪-৮৫)। তিনি আরো বলেন, এভাবে আপিলের দোহাই দিয়ে ইচ্ছে মত আইনের চেতনা (দুর্নীতিবাজ মুক্ত আইনসভা) ভূলুণ্ঠিত হওয়া মেনে নেয়া যায় না (প্যারা ৬২,৬৩, পৃষ্ঠা ৫৯০-৯১)। মামলাটি অন্য এক ইস্যুতে নিষ্পত্তি হয়। আপিল ও দন্ডের চূড়ান্ততা নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের দুই বিচারকের দুই রকম অবস্থান থেকেই যায়। আপিল বিভাগ পর্যন্ত ব্যাপারটা আর এখনো গড়ায় নি।

ঘটনা-৪
২০০৭ সাল। সেনা সরকার আসার পর রাজনীতিবিদদের বিচার শুরু হল পুরোদমে। তড়িঘড়ি করে অনেকের শাস্তি হলো। ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরেরও হলো। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন আইনে। ঠিক সামরিক আদালত নয় তবে সেনা সরকারের ইমার্জেন্সি পাওয়ার রুলের আওতায় দ্রুত বিচার করে দেয়া হল। মহিউদ্দিন খান আলমগীর আপিল নিয়ে হাইকোর্টে গেলেন। শাস্তি স্থগিত হল। জামিনও হল। তারপরও নির্বাচনে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নমিনেশন পেপার বাতিল করে দেয়া হলো।

তিনি হাইকোর্টে গেলেন। হাইকোর্ট বললো, নির্বাচনী বিষয়ে রিট চলে না। রিটার্নিং অফিসার যা বুঝেছেন তাই হবে। মহিউদ্দিন খান আলমগীর আপিল বিভাগে গেলেন। মূল শুনানির আগে চেম্বার জজের কাছে গেলেন। তিনি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেন। রিটার্নিং অফিসারকে নমিনেশন পেপার নিতে বললেন। মহিউদ্দিন খান আলমগীর ইলেকশনে জিতেও গেলেন। ওদিকে ২০১০ সালে এসে মূল শুনানিতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টেরটাই বহাল রাখলেন। বলা হল, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী বিরোধগুলো নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার। এসব নিয়ে রিট চলে না (ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর বনাম বাংলাদেশ, ৬২ ডিএলআর (এডি) ৪২৫)।

এবার এরশাদের মত ঘটনা ঘটলো। মহিউদ্দিন আলমগীরের পদ শূন্য ঘোষিত হল। তিনি আবার রিট করলেন। শূন্য ঘোষণা স্থগিত হল। রিট নিষ্পত্তি হতে হতেই মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মূল শাস্তি হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে রহিত হল। দন্ড স্থগিত ও আরো নানা রকম স্থগিতাদেশের জোরে মহিউদ্দিন খান আলমগীর মাঝের সময়টা চালিয়ে গেলেন। এদিকে সাজার চূড়ান্ততা নিয়ে মূল প্রশ্নটি-র সুরাহা আর হলো না।

ঘটনা-৫
বেগম খালেদা জিয়ার ঘটনার পর ব্যাপারটা আবার এসেছে। সম্প্রতি হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চ বিভিন্ন রকম রায় দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, আপিল চলাকালীন সময়ে সাজা স্থগিত না থাকলে বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তের পরেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। কেউ বলছেন, একেবারে আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পরেই অযোগ্যতা তৈরী হবে।

বেগম জিয়ার সাজা হাইকোর্ট বিভাগে রদ হওয়ার বদলে উল্টো বেড়ে গেছে। বিচারিক আদালতে এ মামলার গতি প্রকৃতি দেখলে অবাক হতে হয়। মামলার শুনানির তারিখ কতবার যে কত অজুহাতে উনার আইনজীবীরা পিছিয়েছেন সে হিসেবে করতে গেলে মাথা ঘুরবে। মামলার বিচারকের উপর কতবার অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়ে কতবার ঝুলানো হয়েছে তারও ইয়ত্তা রাখা কঠিন। কতবার তিনি অসুস্থ হয়েছেন, আর কতবার নিজের ডাকা হরতাল অবরোধে নিজেই আদালতে হাজির হতে পারেন নি, তার হিসেব রাখাও রীতিমত অসাধ্য। সর্বশেষ একটি উদাহরণ দিই। বর্তমানে চলমান একটি শুনানিতে মওদুদ আহমেদ বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ। এতক্ষন আদালতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। শুনানি স্থগিত করেন। কাল শুনানি করবো। আদালত আর্জি কবুল করলেন। পরের দিন শুনানিতে এসে মওদুদ আহমেদ বলে বসেন, সামনে নির্বাচন। আমার তো ইলেকশনের কাজ আছে! শুনানি পিছিয়ে দেন। সাথে সাথে কাস্টডি থেকে বেগম জিয়া খেঁকিয়ে উঠেন, আদালতে এসে বসে থাকতে হলে আমাদের নেতারা ইলেকশন করবেন ক্যামনে? তাছাড়া আমার স্বাস্থ্যও ভালো নেই। আমি আর আসতে পারবো না!! অনেকটা আক্কেলগড়ুম হয়ে আদালত নির্বাচনের পর জানুয়ারিতে তারিখ দিয়েছেন। প্রশ্ন হল, বিচারিক আদালতেই যদি বিচার প্রক্রিয়ার এত বড় অপব্যবহার হয়, তাহলে আপিলের ভরসায় বসে থাকলে সম্ভাব্য অপব্যবহারের মাত্রা কতটুকু হতে পারে?

সমাপনী বক্তব্য
উপরে আলোচিত পাঁচ পাঁচটি ঘটনার কোনটিতেই সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ এর মূল চেতনা কি প্রতিফলিত হয়েছে? দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের জনগণের প্রতিনিধিত্ব থেকে সরিয়ে রাখার যে শপথ আমরা ১৯৭২ সালের সংবিধানে নিয়েছিলাম সেটি কি শুধু স্থগিতাদেশ আর নানা রকম সময় ক্ষেপনের সুযোগের কাছে মার খাবে? সেক্ষেত্রে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বনাম আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী (২০০১ ডিএলআর ৫৬৯) মামলায় বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের রায়টি কি যুগান্তকারী নয়? সংবিধানের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য স্বয়ং বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহার (Abuse of Judicial Process)-কে উচ্চ আদালত আর কত দিন প্রশ্রয় দেবেন?

শুধু চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তির দোহাই নয়। আপিল নিষ্পত্তির পর হয়ত আমরা শুনবো, অপরাধের শাস্তি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অপরাধটি “নৈতিক স্থলন জনিত অপরাধ” নয় (৬৬(২)(ঘ) এর দ্বিতীয় পেঁচগি)!! আমরা কিন্তু এইচ এম এরশাদকে এই কাজটা করতে দেখেছিলাম (এইচ এম এরশাদ বনাম জাহিদ হোসাইন খান, ৫৪ ডিএলআর (এডি)১)।

আমার মনে হয়, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ নিয়ে সাপ-লুডু খেলার এই দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে উচ্চ আদালত Abuse of Judicial Process আর্গুমেন্ট জিনিসটা বিবেচনায় নিতে পারেন। Abuse of Judicial Process আর্গুমেন্টটা টর্ট এর বিষয় মনে হলেও, আদালতের কাছে যাওয়ার গণ অধিকারের অপব্যবহারও এর আওতায় আসতে পারে।

লেখক- সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।