আইনপেশার মানোন্নয়নে আইনজীবী সমিতির বক্তব্য চেয়েছে বার কাউন্সিল
বার কাউন্সিল ও আইনজীবী

হাইকোর্টে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির নতুন বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

২৫ বছর নিম্ন আদালতে প্র্যাকটিসরত আইনজীবীদের শুধুমাত্র সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগে প্র্যাকটিসের অনুমতি প্রদানের নতুন বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

রিটে আইনের এই বিধান সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯(১) ও অনুচ্ছেদ ২৭ এর পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে হাইকোর্টে নতুন আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির জন্য করা নতুন এ বিধান বাতিলের আবেদনও জানানো হয়।

রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।

প্রসঙ্গত, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার’স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি আইনটির একটি বিধানে সরকার সংশোধনী এনেছে। বার কাউন্সিলের আগের বিধান অনুসারে নিম্ন আদালতে দুই বছর প্র্যাকটিসের পর হাইকোর্টের আইনজীবী হতে প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হতো। কিন্তু, সরকারের নতুন সংশোধনীতে বলা হচ্ছে, নিম্ন আদালতের আইনজীবীদের ২৫ বছরের প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকলে তাকে আর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তিতে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না। শুধুমাত্র সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হলেই তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন।

বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার’স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ এর ৪০ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ওই সংশোধনী আনে। রুলসটির ৪০(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বার কাউন্সিল কোনও রুলস না করা পর্যন্ত এই অনুচ্ছেদের অধীনে সরকার অবশ্যই রুলস তৈরির ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে।

গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি গেজেটের নতুন রুলসে বলা হয়েছে, আইন বিষয়ে ডিগ্রিধারী কোনও ব্যক্তি বাংলাদেশের যে কোন নিম্ন আদালতে একাধারে ২৫ বছর আইন পেশায় নিয়োজিত থাকলে তাকে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তিতে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না, তবে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদন করতে হবে।