আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী

‘অভ্যাসগত অপরাধী না হলে সংশোধনের সুযোগ দেয়া উচিৎ’

অভ্যাসগত অপরাধী না হলে তাকে সংশোধনের সুযোগ দেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইমান আলী।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) জুডিসিয়াল রিফর্ম কমিটি, সুপ্রিমকোর্ট ও জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের (জিআইজেড) আয়োজনে প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৬০ নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের প্রবেশন অফিসার এবং জেল সুপারদের অংশগ্রহণে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, সাজপ্রাপ্ত অপরাধীদের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়। আর এক্ষেত্রে বিচারকদের জন্য উপযুক্ত হাতিয়ার হবে ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০ আইনটি।

তিনি বলেন, ‘অভ্যাসগত অপরাধী না হলে তাকে সংশোধনের সুযোগ দেয় উচিৎ। যেখানে সাজার পরিমাণ কম সেখানে এ আইনের প্রয়োগ সম্ভব। তবে যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদন্ডের বেলায় এটি প্রয়োগ করা সম্ভব নয়।’

বিচারপতি ইমান আলী বলেন, আইনটি ১৯৬০ সালের। কিন্তু এখনও এটি তেমন প্রয়োগ হয়নি। এটি প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি। এ আইনটি সম্পর্কে অনেকই জানতেন না।

বিচারকদের পাশপাশি এ আইনের বিষয়ে আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচলক আব্দুল্লাহ আল মামুন, রুল অব ল’ প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত প্রমুখ।