বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ

আবরার হত্যায় গ্রেপ্তার আরও তিনজনের বিরুদ্ধে ১০ দি‌নের রিমান্ড আবেদন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার গ্রেপ্তার আরও তিন আসামির ১০ দি‌নের রিমান্ড আবেদন ক‌রে‌ছে গো‌য়েন্দা পু‌লিশ।

আজ বুধবার (৯ অ‌ক্টোবর) ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট আদাল‌তে হা‌জির ক‌রে তা‌দের এই রিমান্ড চাওয়া হয়। এদিন আবেদনের উপর শুনা‌নি হ‌বে।

আবরার ফাহাদ হত্যায় এজাহারভুক্ত এই তিন আসামিকে মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

তারা হলেন- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও একই ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. আকাশ হোসেন (২১)।

ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা থেকে রাফাতকে, ডেমরা থেকে মনিরকে ও গাজীপুরের বাইপাল থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

ফাহাদ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার ১০ ছাত্রলীগ নেতার ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান ও মেহেদী হাসান রবিন।

একইসঙ্গে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

উল্লেখ্য, রোববার (০৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলায় আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এই ঘটনায় গতকাল নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।