আইনজীবী হত্যা মামলার আসামি না ধরার অভিযোগ

স্ত্রীর কথা মতো জমি বিক্রি করে টাকা না দেওয়ায় আইনজীবীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই নাটোর শহরের আলাইপুর মহল্লার মঈনুল হোসেন বাদী হয়ে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় মামলা করলেও অভিযুক্ত আসামিদের ধরছে না পুলিশ। হত্যা মামলার আসামি হয়েও তারা বহাল তবিয়তে বাড়িতেই বসবাস করলেও পুলিশ প্রভাবিত হয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন না বলে অভিযোগ করেন মঈনুল ইসলাম।

ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবে রোববার (২০ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবলিম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মঈনুল ইসলাম জানান, নাটোর শহরের আলাইপুর মহল্লার বাসিন্দা তার ভাই অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক নাটোর কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি নিঃসন্তান। নাটোর শহরের আলাইপুর, মল্লিকহাটী, সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ও ইটালী ইউনিয়নে তাদের এজমালী সম্পত্তি রয়েছে যার মধ্যে মোজাম্মেলের অংশের মূল্য কোটি টাকার ওপরে। মোজাম্মেলের স্ত্রীর বাবার বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই এলাকায়। আত্রাই কলেজের শিক্ষক হিসেবে রিটায়ার্ড করার পর ভাই-ভাবির টাকায় রাজশাহী শহরের বিলসিমলা এলাকায় বাড়ি করেছেন। ভাই নাটোর কোর্টের উকিল হিসেবে কাজ করে বৃহস্পতিবার রাজশাহী যেতেন, রবিবার চলে আসতেন। ভাবির সাথে ভাগ্নে কনক (৩৩) ছোটবেলা থেকেই থাকত। সম্প্রতি তিনি নেশাগ্রস্ত ও ছিনতাইকারী হিসেবে বেশ কয়েকবার পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।

রিটায়ার্ডের পর থেকেই ভাবি বেগম রোকেয়া তার ভাইকে বলতেন, ভাই নিঃসন্তান হওয়ায় মুসলিম আইনানুযায়ী তার মৃত্যুর পর সম্পত্তির মালিকানায় অন্য ভাই-ভাস্তেরা থাকবে। তাই সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই চাপ দিত বলে ভাই তাদের বলতেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে কনক আর ভাবি যোগসাজসে মোজাম্মেলকে হত্যা করে। পরে তিার লাশ প্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়। ময়না তদন্ত রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ পাওয়ার পর গত ১৫ অক্টোবর রাজশাহী রাজপাড়া থানায় তিনি ভাবি রোকেয়া এবং ভাবির ভাগ্নে কনককে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। বর্তমানে ভাবি রোকেয়া এবং কনক রাজশাহীর বাড়িতেই বসবাস করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত মোজাম্মেল হকের অপর ভাই এস এম শাদ-উল-ইসলাম এবং চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার মামলার আইও মেহেদী হাসান প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কালেরকণ্ঠ