পিলখানা হত্যা মামলার রায়

বাংলা একাডেমি ও মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলা রায় হস্তান্তর

পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় হাইকোর্টের দেওয়া বাংলা রায় বাংলা একাডেমিতে হস্তান্তর করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে এ রায় হস্তান্তর করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রহমান।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর মাতৃভাষা বাংলায় লেখা ১৬ হাজার ৫৫২ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি ওই দুই প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমিতে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে পত্র মারফত অনুরোধ করার পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ রায় হস্তান্তর করা হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড এবং বেসামরিক লোকসহ বিডিআরের আরও সদস্যদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের ওপর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এ রায় দিয়েছেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বিশেষ বেঞ্চ।

এরমধ্যে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ১১ হাজার ৪০৭ পৃষ্ঠা, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ১১ হাজার ৪০৮ থেকে ২৭ হাজার ৯৫৯ পৃষ্ঠা এবং বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ২৭ হাজার ৯৬০ পৃষ্ঠা থেকে ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লিখেছেন।