'যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও আইন প্রণয়নে করণীয়' শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভা

যৌন হয়রানীর সংজ্ঞায় হিজড়া এবং লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

যৌন হয়রানীর সংজ্ঞায় হিজড়া এবং লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করাসহ যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন এবং প্রণীত আইনের যথাযথ বাস্তনায়নের জন্য এ সংক্রান্ত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) -এর উদ্যোগে রোববার (২৬ জুলাই) ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও আইন প্রণয়নে করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আইনজীবী, আইন বিশেষজ্ঞ, আইন গবেষক, মানবাধিকারকর্মীসহ প্রায় ৪৫ জন অংশগ্রহণ করে তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন এবং আলোচনা শেষে একটি সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন।

ব্লাস্টের অ্যাডভোকেসী ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনলাইন মতবিনিময় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন যৌন হয়রানী প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও খসড়া আইন প্রণয়ন বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ড. কাজী জাহেদ ইকবাল ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকাসহ আরো অনেক বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত প্রদান করেন।

সভায় ইউএন উইমেন এর নলেজ ম্যানেজমেন্ট এন্ড মনিটরিং এনালিস্ট শ্রবণা দত্ত ও ব্লাস্টের উপ-পরিচালক মাহবুবা আক্তার এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।

অনলাইন মতবিনিময় সভায় যৌন হয়রানী প্রতিরোধে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো হচ্ছে –

  • ২০০৯ সালের উচ্চ আদালতের গাউডলাইনের আলোকে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে একটি যুগোপোযোগী আইন প্রণয়ন করা;
  • ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতের বিদ্যমান গাউডলাইন অনুযায়ী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে পলিসি তৈরী, অভিযোগ কমিটি গঠন এবং বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করা;
  • নতুন আইনে অভিযোগকারীর নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন, পরবর্তী পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা;
  • উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অভিযোগ কমিটি ও অভিযোগ বক্স স্থাপন করেছে কিনা এ বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় তথ্য চাওয়া;
  • পাবলিক প্লেসে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে দন্ডবিধি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং শ্রম আইন সংশোধন করা;
  • যৌন হয়রানীর সংজ্ঞায় হিজড়া এবং লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করা;