টি.এম.শাকিল হাসান, এ্যাডভোকেট

ষাট হাজার আইনজীবীর অব্যাহত নীরব করোনা যুদ্ধ

টি.এম.শাকিল হাসান: ঘরে বসে থেকে সরকারের নির্দেশনা মানার পাশাপাশি ষাট হাজার আইনজীবী এ পর্যন্ত তাঁদের প্রায় সাড়ে চার মাসের আয়ও স্যাকরিফাইস করেছে করোনা যুদ্ধে! মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর কম্পানিয়ন বিচারপতি মহোদয়গণ সমীপে, সুপ্রিম কোর্ট খুলে দেওয়ার যৌক্তিকতা এবং সেজন্য করণীয় উপস্থাপন। হোমো (HOMO) গোত্রের পাঁচ বা ছয় প্রজাতির মানুষের মধ্যে সর্বশেষ প্রজাতির মানুষ আমরা তথা হোমো স্যাপিয়েন্স বা বুদ্ধিমান মানুষ। মাত্র দশ হাজার বছর আগে আমাদের আবির্ভাব হলেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভূত উন্নতি সাধন আর তা’ ব্যবহার করে ইতিপূর্বে পৃথিবীতে আবির্ভূত এবং ধ্বংস প্রাপ্ত হোমো নিয়ান্ডারথাল, হোমো ইরেক্টাস, হোমো সোলায়েনসিস, হোমো ফ্লোরেনসিসেস প্রজাতির মনুষ্যের থেকে যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়েছি আমরা- হোমোস্যাপিয়েন্স আর আমাদের সভ্যতা। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার সম্ভবত শীর্ষে পৌঁছেও প্রকৃতির কাছে আজও আমরা অসহায়, প্রকৃতির খেলনার মত!  ঠিক যেন কবি নজরুলের কবিতা “খেলিছো এই বিশ্ব লয়ে এক বিরাটও শিশু আনমনে….”

কোভিড-১৯ গোটা বিশ্বকে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে শেখাচ্ছে প্রকৃতির ঊর্ধ্বে নই আমরা কেউ, এই প্রকৃতির ঝাঁকুনি থেকে কিছু শিক্ষা নিতে পারি আর নাই পারি, দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছি আমরা, পৃথিবীর মানুষেরা। এশিয়ার চীন থেকে শুরু হলেও সারা বিশ্ব স্থবির এই করোনা ভাইরাসের তান্ডবে। আমাদের দেশও রেহাই পাচ্ছে না এই তান্ডব থেকে। এই তান্ডব থেকে বাঁচতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বন্ধ হয়ে যায় কোর্টসহ সরকারি-বেসরকারী অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই, প্রায় সাড়ে চার মাস আগে। পুরো দেশ চলে যায় লকডাউনের আড়ালে। সুখের বিষয়, কোভিড তান্ডব শুরুর আগে বা শুরুতে যতটা ভয়ংকর মনে হচ্ছিল, পরিস্থিতি বোধহয় ততটা ভয়ংকর হয়নি আমাদের দেশে। মিডিয়ার কল্যাণে মানুষের সাবধানতা, করোনা প্রতিরোধে সরকারি ও ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের ঔষধের ব্যবহার, তাপমাত্রা, পরিশ্রমী মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভৃতি কারণে করোনা এদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি, ফলশ্রুতিতে মৃত্যু হার উন্নত দেশের চেয়ে কম, আক্রান্তের সংখ্যা জনসাধারণের সংখ্যা বিবেচনায় নগণ্য। ষোল কোটি মানুষের দেশে চারমাসে মাত্র দুই লাখ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিশাল কিছু নয়, যে দেশে প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে, সেখানে কোন বিশেষ রোগে ৩০/৪০ জন মানুষের মৃত্যু দুঃখ জনক হলেও তেমন ভয়ের কিছু নয় বলে অনেকের ধারণা। অন্যদিকে, চারমাস ব্যাপী করোনা বিরাজমান থাকায় এবং ঢাকা শহরে প্রচুর লোক স্বল্প কিংবা তীব্র মাত্রার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে এখানে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে হার্ড ইম্যুইনিটি গ্রো (HARD IMMUNITY GROW) করেছে বলে মনে করছেন অণুজীব বিশারদগণ। আর তাই, একদিকে করোনা যেমন ভিকটিম পাচ্ছে না অন্যদিকে কেউ আক্রান্ত হলেও কাবু হচ্ছে না। এসবের সাথে অর্থনৈতিক চিন্তা মাথায় রেখে সরকার অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ আগেই।

বাকি ছিল কোর্ট, তার মধ্যে নিম্ন আদালত খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে সম্প্রতি। শুধু দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আর তাই সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে আমার একান্তই নিজস্ব চিন্তা তুলে ধরছি;

সুপ্রিম কোর্ট খোলার যৌক্তিকতা
দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, যা দেশের সাংবিধানিক আদালত এবং সংবিধানের অভিভাবকও বটে। সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে Original Jurisdiction, Special original jurisdiction, appellate jurisdictions, revisional jurisdiction প্রভৃতি Jurisdictions. যেহেতু অন্য সকল প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে, সেহেতু এসকল প্রতিষ্ঠানের কাজ-কর্মে কেউ ক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিকার সুপ্রিম কোর্টে। রাষ্ট্রের tax payee citizens দীর্ঘ সময় প্রতিকারহীন থাকতে পারেনা, এটা আইন-সভ্যতার সাথে Contradictory.

  • যেহেতু নিম্ন আদালত খুলছে, নিম্ন আদালতের যে কোন অর্ডারের বিরুদ্ধে আপীল /রিভিশন ইত্যাদি দায়েরের জন্য সুপ্রিম কোর্টও খোলার প্রয়োজন।
  • অনেক মামলায় নিম্ন আদালত জামিন দিতে পারেনা। সেসব মামলা বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্ট খোলা জরুরি
  • সিভিল মামলায় অনেক জরুরি ইন জাংশান, এটাচমেন্টের বিষয় থাকে, যা শুনানির এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের।
  • সব প্রতিষ্ঠান চলছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট না চলা কিছুটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং রাষ্ট্রের অন্যান্য বিভাগের তুলনায় কম গুরুত্বের ইঙ্গিত দিবে!
  • সারা দেশের প্রায় ষাট হাজার আইনজীবীর মতো সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রায় দশ হাজার আইনজীবি পাঁচ মাস যাবৎ পেশা হতে বিরত রয়েছে। আইনজীবীদের এই বিরত থাকার আলাদা significant হচ্ছে, তাঁরা বিরত থাকার পাশাপাশি তাদের উপার্জনের অধিকারও ত্যাগ করেছে। করোনা প্রতিরোধে তাঁদের এই ত্যাগ অবিস্মরণীয়। তাঁদের পেশা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি গভীর ভাবে ভাবার দাবীদার । ষাট হাজার আইনজীবীর প্রায় পাঁচ মাসে আয় কত, চিন্তা করা যায়? শুধু ঘরে বসে থাকেনি, পাঁচ মাসের আয়ও তাঁরা স্যাক্রিফাইস করেছে!

সুপ্রিম কোর্ট খোলা হলে করনীয়
মাননীয় বিচারপতি মহোদয় গণের নিরাপত্তার জন্য

  • বয়জৈষ্ঠ, শারীরিক সমস্যাযুক্ত বিচারপতি মহোদয় গণকে ভার্চুয়াল কোর্ট দেওয়া যেতে পারে।
  • বয়সে তরুণ এবং ইচ্ছুক বিচারপতি মহোদয় গণকে স্বাভাবিক কোর্ট দেওয়া যেতে পারে।
  • বিচারপতি মহোদয় গণের নিরাপত্তা জনিত কারণে যতদূর সম্ভব কম লোকবল পালাক্রমে দেওয়া যেতে পারে।
  • গান ম্যান, চাপরাশি আপাতত না রাখাই বাঞ্ছনীয়।
  • বিচারপতি মহোদয়গণের জন্য নিযুক্ত স্টাফদের আপাতত পৃথক আবাস (হোটেলে), যানবাহনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
  • বিচারপতি মহোদয় গণের পরস্পরের বসার চেয়ার সমূহ কমপক্ষে ছয়ফুট দুরত্বে রাখতে হবে এবং এ্যাডভোকেট ডায়াস থেকে দশফুট দুরত্বে রাখতে হবে।
  • প্রয়োজনে স্বচ্ছ কাঁচের মাধ্যমে পার্টিশন তৈরি করা যেতে পারে।
  • খাস কামরা এরিয়ায়/বারান্দায় একান্ত প্রয়োজনীয় দুই একজন ছাড়া অন্য সকলের প্রবেশ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
  • এক কোর্টের স্টাফদের সাথে আরেক কোর্টের স্টাফদের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।

তবে আমার ব্যক্তিগত ধারণা, মাননীয় বিচারপতি মহোদয়দের এজলাস কিংবা খাসকামরার অবস্থানের কারণে বারের সদস্যদের দ্বারা তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে স্টাফদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সাবধানত অবলম্বন জরুরি।

কোর্ট ম্যানেজমেন্ট

  • কোর্ট সপ্তাহে ছ’দিন চলতে পারে।
  • সপ্তাহে ৩ দিন সিভিল সংশ্লিষ্ট, ৩দিন ক্রিমিনাল সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলবে। Anticipatory bail বন্ধ রাখা বাঞ্ছনীয়।
  • আপীল বিভাগের দুটি কোর্টের প্রত্যেকটি আপাতত তিন দিন করে চলতে পারে।

কোর্টরুম ম্যানেজমেন্ট

  • বিচারপতি মহোদয়গন, মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ সহকারী ভিন্ন অন্য কেহ কোর্ট রুমে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ ছাড়া যে কারো কোর্টে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
  • আপাতত সংশ্লিষ্ট সকলের কোর্ট, গাউন পরা হতে অব্যাহতি থাকবে।
  • কোর্টরুমে হান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রিজার্বড থাকতে পারে।
  • আইনজীবী মহোদয়গণ কোর্টে প্রবেশের পূর্বে কোর্টে প্রিজার্বড নতুন ফাইলে কাগজ পত্র নিয়ে প্রবেশ করবেন।
  • যে কোন ফাইল, কাগজপত্র বিচারপতি মহোদয় গণের নিকট পৌছানোর অন্তত ৪৮ ঘন্টা আগে কোর্টরুমে বদ্ধ জায়গায় প্রিজার্বড থাকতে হবে।
  • কোর্টের জানালা দরজা খোলা রেখে এসি বন্ধ রাখা বাঞ্ছনীয়।
  • প্রতিদিন কোর্ট শুরুর পূর্বে, রিসেস এর সময় এবং কোর্ট শেষ হওয়ার পরে কোর্টরুম স্যানিটাইজ করতে হবে।

মামলা ম্যানেজমেন্ট

মোশন-

  • প্রতিটি কোর্টের তার নিজস্ব জুরিসডিকশনের মোশন শোনার ক্ষমতা থাকতে পারে।
  • কোন একক কোর্টে ভিড় এড়ানোর স্বার্থে একই জাতীয় মোশন লটারি কিংবা একজন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট জুরিসডিকশনের বিভিন্ন কোর্টে সমহারে বন্টন করা যেতে পারে।
  • প্রাপ্ত মোশন এন্ট্রি অনুযায়ী লিস্টে দেওয়া যেতে পারে। শুনানির জন্য সময় এবং আইনজীবীর নাম উল্লেখ থাকবে।
  • ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে মোশনের অর্ডার নামানোর ব্যবস্থা থাকবে।

মামলা শুনানি

  • লিস্টে টাইম স্লটসহ অল্প সংখ্যক মামলা থাকবে।
  • দুই পক্ষের উপস্থিতি /কনসেন্ট ছাড়া মামলার শুনানি না করা বাঞ্ছনীয়।
  • কোন মামলা খারিজ বা একতরফা শুনানি না করা সমীচীন।

কোর্ট ও আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণ ব্যবস্থাপনা

  • কোর্ট প্রেমিসেসে কোর্ট ও বারের on duty সংশ্লিষ্ট ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যেমনঃ ক্লায়েন্ট, তদবিরকার, সাধারণ জনগন, যাদের ডিউটি নেই তারা ইত্যাদি প্রেমিসেসে ঢুকতে পারবে না।
  • কোর্ট প্রেমিসেসে মাননীয় বিচারপতি মহোদয় গণের এবং সিনিয়র আইনজীবীগণের গাড়ি ভিন্ন কারো গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। প্রবেশাধিকার সম্পন্ন গাড়ি সমূহ, সংশ্লিষ্টদের কোর্ট প্রেমিসেসে নামিয়ে দিয়ে প্রেমিসেস ত্যাগ করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আবার তুলে নিবে। মোদ্দাকথা, কোর্ট আওয়ারে প্রেমিসেসে গাড়ি বা ড্রাইভারের ভিড় থাকবে না।
  • কোর্ট /বার বিল্ডিং এ ঢোকার পূর্বে তাপমাত্রা মাপা, বডি,হান্ড স্যানিটাইজার লাগানো বাধ্যতামূলক।
  • কোর্ট /বার বিল্ডিং সমূহের প্রতিটি কর্ণারে হান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক,ডাস্টবিন রাখতে হবে।
  • বারের চারতলার কম্পিউটার ও কোর্ট ফির দোকান ভিন্ন অন্য সকল দোকান, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
  • একটি হলরুমে নিরাপদ দুরত্বে চেয়ার রেখে হলরুমটি শুধু সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বয়স্ক আইনজীবীদের জন্য প্রিজার্বড করা যেতে পারে।
  • স্বাস্থ্য বিধি মনিটরিং করার জন্য কোর্ট ও বারে শাস্তি প্রদানের ক্ষমতাসহ মনিটরিং টিম থাকতে পারে।
  • প্রতিদিন অন্তত দুই বার প্রেমিসেস, কোর্ট/বার বিল্ডিং স্যানিটাইজ করতে হবে।

এফিডেভিট
যেকোন পিটিশন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হতে পারে তবে এফিডেভিট সম্পাদনার সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর দিতে হবে। অন্যথায়, সড়ক ভবন কিংবা পূরাতন হাইকোর্ট বিল্ডিং এ স্বাস্থ্য বিধি মেনে এফিডেভিটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

শেষ কথা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে তাঁর একজন মন্ত্রী বললেন, মিঃ প্রধানমন্ত্রী, দেশের অবস্থা ভালো নয়, শুনে চার্চিল জিজ্ঞাসা করলেন – কোর্ট কি চলছে? মন্ত্রীর হ্যাঁ সূচক জবাব পেয়ে চার্চিল বললেন – “তুমি চিন্তা করোনা, কোর্ট চলছে মানে দেশ ঠিক আছে! ”

আমাদের দেশে উল্টোটা হয় কেমনে, সবকিছু চলবে কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট চলবে না! তা হবে না নিশ্চয়ই? মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং সিনিয়র বিচারপতিবৃন্দের প্রতি আমাদের সেই আস্থা আছে। আর সবচেয়ে সত্য কবি গুরুর অমোঘ সত্য বাণী – “মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান……” চিরদিন বেঁচে থাকতে পারবো না কেউই, আজ না হয় কাল যেতেই হবে। সাবধানতা অবলম্বন যথেষ্টই করেছি, এখন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিদায় নিলে ক্ষতি কি? (Court is the master of its own procedure. কোর্ট কিভাবে চলবে সেটা অবশ্যই কোর্ট ঠিক করবে, আমার এই লেখা শুধু নিজস্ব চিন্তা ভাবনা প্রসূত আর as an officer of the court আদালতকে সহায়তার প্রচেষ্টা মাত্র)।

টি.এম.শাকিল হাসান : এ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট; সিনিয়র এ্যাসোসিয়েট, এ এফ হাসান আরিফ & এ্যাসোসিয়েটস্।