ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী

প্রয়াত এমপি অ্যাড. সাহারা খাতুনের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চান ড. মোমতাজ

ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন এই আইনজীবী নেতা।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছি, আর তাই জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে কাজ করতেই এই উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছি। এই আসন থেকে পর পর তিনবার নির্বাচিত প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের অসমাপ্ত কাজগুলোও শেষ করতে চান তিনি।

মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় মানুষের জন্য ভাবেন, কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতেই আমি ঢাকা ১৮ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন চেয়েছি।

এলাকার উন্নয়নে কাজ করা নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানিয়ে মেহেদী বলেন, এই আসনে প্রায়াত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকটে সাহারা খাতুন পর পর তিনবার এই আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এলাকার মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমি চাই তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে। নির্বাচিত হলে এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দেবেন বলেও জানান মেহেদী।

মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দুই বার সদস্য ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর পেশাজীবী হিসেবেও দলের পক্ষে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। অসংখ্য বার রাজনৈতিক কারণে আহত, গ্রেফতার ও ডিটেনশনে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজপথের প্রতিটি মিছিলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের এডিসি কোহিনূরের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিজে বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন।

১১-এর কঠিন সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতারের দিন থেকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভের মুহূর্ত পর্যন্ত মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী সক্রিয়ভাবে রাজপথে ও আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইনজীবী পেশাজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য বিবৃতি প্রদান করেন। বিশেষ আদালতে প্রতিদিন উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।