বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন দুই বিচারপতিকে ভার্চ্যুয়াল সংবর্ধনা দিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
আজ রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের আট বিচারপতি ভার্চ্যুয়ালি এজলাসে বসেন।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি নতুন দুই বিচারপতির সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন। এরপর দুই বিচরপতি সংবর্ধনার জবাবে বক্তব্য দেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এর আগে, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দুই বিচারপতিকে শপথ বাক্যপাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
পরে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত দুই বিচারপতি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিচারপতি তারিক উল হাকিম
১৯৫৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এই বিচারপতির বাবাও ছিলেন বিচারপতি। নাম বিচারপতি মাকসুম উল হাকিম। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে জেলা আদালত এবং ১৯৮৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০২ সালের ২৯ জুলাই তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালেজেলা আদালত, ১৯৮৮ সলে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এই বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এরও চেয়ারম্যান ছিলেন।
উল্লেখ্য, সবশেষ আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর। নতুন দুইজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগের বিচারপতি হলেন মোট আটজন।