নাটোরে নদী থেকে বালু উত্তোলন, সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আদালত

পাবনায় মিথ্যা মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ

পাবনায় দলিল বাতিলের জন্য আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করেন বিচারক।

ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. লিয়াকত আলী ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জনৈক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে গত ২৫ অক্টোবর তার আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে দলিল বাতিলের একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের পর্যালোচনায় মামলাটি সন্দেহজনক মনে হলে মামলাটি গ্রহণ না করে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) গ্রহণীয় শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। একই সাথে বিবাদী, বাদী-বিবাদীর বড় ভাই এবং দলিলের একজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

মঙ্গলবার মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে বিজ্ঞ বিচারক সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্য রেকর্ড করেন। উন্মুক্ত আদালতে বাদীর উপস্থিতিতে তারা সবাই তর্কিত দলিলটি সঠিক বলে উল্লেখ করেন। সবশেষে বাদীর বক্তব্য শোনেন। পরে বাদী নিজেও স্বীকার করেন যে, পারিবারিক বিরোধের সূত্রে ধরে তিনি এই মামলাটি দায়ের করেছেন এবং প্রকৃতপক্ষে এটি একটি মিথ্যা মামলা।

বেঞ্চ সহকারী মো. লিয়াকত আলী জানান, বিচারকের বিচক্ষণতায় শুরুতেই মামলাটি মিথ্যা বলে বাদী স্বীকার করে নেন। এতে বিবাদী এক দীর্ঘ মানসিক, দৈহিক এবং আর্থিক হয়রানীর সম্ভাবনা থেকে মুক্তি পেলেন। একই সাথে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

লিয়াকত আলী আরও বলেন, আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ স্যার এর আগেও বিভিন্ন সময় জাল দলিল, মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথা মামলা এবং জারী মামলায় দখল কাজে বাঁধা দেওয়ার কারণে সংশ্লিষ্টদের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এতে মিথ্যা মামলা দায়ের, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান এবং জাল কাগজাদি দাখিলের প্রবণতা নেই বললেই চলে।

বেঞ্চ সহকারী বলেন, আদালতে এখন বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত প্রতিকার পাচ্ছেন। এই মামলাটিও স্যারের নিকট সন্দেহজনক মনে হলে মামলার বিষয়বস্তুর সত্যতা নিরূপণের স্বার্থে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন এবং মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করেন। এতে বিবাদী যেমন ৫-৭ বছরের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলেন তেমনি মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হলো।