কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর উপর হামলা: স্বাস্থ্যসেবায় অবহেলা এবং তার প্রতিকার

চৈতালী দাস: স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের নিয়মিত আয়োজনে প্রতি শনিবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতি শনিবার রাত দশটায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩১ অক্টোবর (শনিবার) বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবায় আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনার তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি স্পিকার ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. কাজী জাহেদ ইকবাল এবং প্ল্যাটফর্মের ফাউন্ডার ডা. মো. মহিবুর হোসেন নীরব। এছাড়া ভার্চ্যুয়াল ওই আলোচনা সভায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভিরোলোজি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসরাত সুলতানা যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে পাওয়া যায়নি।

আলোচনার শুরুতেই ডা. মোহিব নীরব চিকিৎসকদের বিভিন্ন সময় সহিংসতার শিকার হওয়ার ঘটনাসমূহ তুলে ধরেন। খুলনায় গত ১৯ জুন একজন ডাক্তারকে পিটিয়ে মারার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান ডা. রাকীব তার নিজস্ব ক্লিনিকে রোগীর সাথে আসা লোকজনের হামলার শিকার হন এবং মৃত্যুবরণ করেন। যেহেতু কর্মস্থলে ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট আইন হয়নি, অন্যান্য আইনের আওতায় হত্যাকান্ডটি বিচারধীন আছে।

বারবার ডাক্তারদের উপর এমন হামলা এবং তার সুনির্দিষ্ট প্রতিকার না থাকায় ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মী নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সেবা প্রদান করতে নিরাপত্তার অভাববোধ করেন। সেকারণে চলতি বছরের গত ৩১ অক্টোবর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত লাইভ ওয়েবিনারের আলোচনার ভিত্তিতে চিকিৎসাক্ষেত্রে ডাক্তারদের উপর হামলার কারণ এবং তার প্রতিকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হল।

আলোচনাও অংশগ্রহণকারী ডাক্তার মো: মুহিবুর হোসেন নীরব তাঁর “প্ল্যাটফর্ম” অনলাইন পত্রিকার এর ২০১৮ সালে করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিছু বিষয় তুলে ধরেন। ২০১৮ সালে ১৬০টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা বেশি হয় প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রগুলো; যেমন, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডাক্তারের চেম্বার এবং ক্লিনিকগুলোতে। মূলত যেসব কারণগুলোর জন্য এমন হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটে সেগুলো হল- চিকিৎসেবা দিতে কোন কারণে দেরী হওয়ায়, বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে রোগীকে রেফার করা, ভুল চিকিৎসার কারণে এবং গুরুতর অবস্থায় আসা কোন রোগীর মৃত্যু হওয়া, চিকিৎসার উপকরণ এবং সরঞ্জামের অভাব; বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেনের অভাব, রোগীকে যখন অন্যত্র রেফার করা হয়, তখন অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন না থাকা, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদানের কারণ, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতা প্রদর্শন; ইত্যাদি।

পরবর্তীতে তিনি আরে আলোচনা করেন মেডিক্যাল কলেজ এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর বিষয়ে। তুলনামূলকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চেয়ে হামলা কম হলেও এসব জায়গায়ও ইমার্জেন্সীতে সেবা প্রদান করা ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা হামলার শিকার হন বেশি। অন্যান্য ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও হামলার শিকার হন। ডা. নীরব এ ক্ষেত্রে যে কারণগুলোর কথা উল্লেখ করেন তা হল- রেফারেল হসপিটালে গুরুতর অবস্থায় আনা রোগীর মৃত্যু, সিনিয়র ডাক্তার কিংবা অধ্যাপক কেন রোগীর চিকিৎসা দেননি, ডাক্তার রাউন্ডের সময় রোগীর অ্যাটেনডেন্টদের অযথা ভীড় করতে মানা করা, রোগীর অ্যাটেন্টডেন্টের সাথে খারাপ ব্যবহার; ইত্যাদি।

তিনি আরো বলেন যে, সাধারণত আমাদের দেশে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা সবচেয়ে বেশি হয় প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসাকেন্দ্র যেমন; ডাক্তারের নিজস্ব চেম্বার, ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। সবচেয়ে কম হামলার শিকার হন বিশেষায়িত হসপিটালের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মী। আর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রের চেয়ে কম হামলা হলেও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর তুলনায় অনেক বেশি হামলা হয় ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর।

পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে যে বেশিরভাগ হামলাগুলো সাধারণত রাতে হয়। তুলনামূলক কম হামলা হয় সন্ধ্যায় এবং অপেক্ষাকৃত সবচেয়ে কম হামলা হয় দিনেরবেলায় বা অফিস আওয়ারে। এক্ষেত্রে উল্লেখিত প্রতিটা সময়েই সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হন ইমার্জেন্সীতে দায়িত্বরত ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীগন।

অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট আইন নেই যদিও বেশ কয়েকটি ড্রাফট বিভিন্ন সময়ে আইন কমিশন ও মন্ত্রণালয় তৈরী করেছিল। তারমধ্যে রয়েছে চিকিৎসাসেবা আইন, ২০১৪; স্বাস্থ্য ও রোগী সুরক্ষা আইন, ২০১৪; ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন, ২০১৪ এবং স্বাস্থ্যসেবা আইন, ২০১৬।

আইনগুলোর ড্রাইফ তৈরি হলেও বিভিন্ন কারণে সেগুলো আইন হিসাবে এখনো গৃহীত হয়নি। যথাযথ আইন না থাকায় ড. কাজী জাহেদ ইকবাল (আইন বিশেষজ্ঞ) দুটো বিষয়ের উল্লেখ করেন। প্রথমত, ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন এবং হামলার শিকার হয়েও উপযুক্ত প্রতিকার তারা পাচ্ছেন না। দ্বিতীয়ত, রোগী কোন কারণে উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে বা অবহেলার শিকার হলে যথাযথভাবে তাদের অভিযোগ দাখিল করে প্রতিকার পাচ্ছেনা।

বাংলাদেশে দন্ডবিধির আওতায় অল্প বিস্তর আইন থাকলেও গোছানো না থাকায় ডাক্তার এবং রোগী উভয়ই বেশ জটিলতায় পড়ে যায় প্রতিকার চাইতে গিয়ে। এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের আইনগুলো পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে বিশ্বের অনেক দেশেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার বিষয়টা কিন্তু নতুন না। চীনের ক্ষেত্রে তারা ডিকশনারিতে “মেডিক্যাল মব” শব্দটিকে যুক্ত করেছে এবং তাদের প্রতিহত করতে ২০১৪ সালে সুপ্রীম কোর্ট আইন প্রণয়ন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখেছে। একইবছর তারা এই আইনের আওতায় দুইজনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেছে। অন্যান্য যে বিষয়গুলো তারা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য আইনের আওতায় এনেছে, সেগুলো হল: প্রতিটি হসপিটালে ২০ শয্যার বিপরীতে একজন করে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ এবং মোট স্বাস্থ্যকর্মীর ৩% এর বেশি সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী বহাল করা, ইত্যাদি।

অন্যদিকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে Indian Penal Code এর আওতায় ১৮ টি প্রদেশে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট কিছু ধারা আছে। যে ধারাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করলে জানা যায়: স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে দুব্যবহার করলে শাস্তিস্বরূপ দুই বছরের জেল হবে দুষ্কৃতকারীর। স্বাস্থ্যকর্মীকে আঘাত করলে বা আহত করলে ৩ থেকে ১০ বছরের জেলের বিধান রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীকে হুমকি দিলে ৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হতে পারে। জোর করে হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল এর বিধান রয়েছে। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর করলে ৩ বছরের জেলসহ জিনিসপত্র ভাঙার ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তার তিনগুণ অর্থ জরিমানার বিধান রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে ভারতে বিজেপির একজন সাংসদকে তিন বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছিল।

পাশ্ববর্তী আরেক দেশ নেপালে ২০১০ সালে আইন প্রণয়ন করে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে এক বছরের জেল এবং ৩ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশেও স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকের সুরক্ষায় ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোতে আইন পরিবর্তন করে যুগপোযোগী করা হয়েছে যাতে সেবা প্রদান করতে গিয়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী অতর্কিত হামলার শিকার না হয় এবং যদি হামলার শিকার হয়, সেক্ষেত্রে যাতে উপযুক্ত প্রতিকার পায়।

সুতরাং আমাদের দেশে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে যথাযথ আইন প্রনয়ন করা এখন সময়ের দাবি। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে মোটামুটি সবার নজরের এসেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা। অত্যন্ত অবহেলার শিকার এই স্বাস্থ্যখাতে এই করোনাকালীন সময়ে ডাক্তার তথা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধার একেবারেই সীমিত ব্যবস্থাপনায় তাদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। যথাযথ পিপিই, অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসা প্রদান করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত ১৬০ জন চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ৪,১৯০ জনের বেশি এবং এমন অবস্থার মাঝেও ডাক্তারদের উপর অতর্কিত হামলা হচ্ছেই।

একদিকে সীমিত অর্থায়ন এবং ব্যবস্থাপনায় সব রোগীকে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদানে ব্যর্থ হওয়া এবং অন্যদিকে বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে নির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় না আনতে পারার কারণে অস্বাভাবিক চিকিৎসা খরচ রোগীদেরও দিশেহারা করে তুলছে এই মহামারীতে।

বিগত বছরগুলোর হিসেবে দেখা যায় এদেশের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শ্রেণী দেশের বাহিরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সব খরচ, যেমন; ওষুধ, টেস্ট, সার্জারি, চিকিৎসকের কনসাল্টেশন ফি, রোগীর অ্যাটেন্টডেন্টের থাকা-খাওয়ার খরচ মিলিয়ে প্রতিবছর প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে। অথচ গার্মেন্টস সেক্টর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর আয় করে ২৫ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশে অবস্থানরত কর্মীদের রেমিট্যান্সে আয় করে ৫০ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং স্বাস্থ্যখাতের যথাযথ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য কমিশন গঠন এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে উভয় স্বাস্থ্যকর্মী এবং ভোক্তা প্রতিকার আইন প্রনয়নের মাধ্যমে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে এবং কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।

যথাযথ চিকিৎসেবা প্রদান এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থলে সুরক্ষা প্রদানে অনুষ্ঠানে আলোচনার ভিত্তিতে কিছু সুপারিশ করা হয়। প্রাক্তন বিচারপতি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, দক্ষ স্বাস্থ্য প্রশাসক, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, অর্থনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞ নিয়ে কমিশন গঠন করে একটা সুনির্দিষ্ট এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন তৈরি করা, যাতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকবে:

১. রোগীর সাথে একজন বা সীমিত সংখ্যক অ্যাটেনডেন্ট আসতে পারবে,
২. পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী যেমন ট্যুরিস্ট পুলিশের মত হেলথ পুলিশের ব্যবস্থা,
৩. রোগীদের অধিকার নিশ্চিত করতে যথাযথ উপায়ে অভিযোগ গ্রহনের ব্যবস্থা,
৪. প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকা,
৫. হটলাইনের সুবিধা থাকা,
৬. ঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতাল এবং হাসপাতাল চিহ্নিতকরণ করা,
৭. চিকিৎসকদের এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া,
৮. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে উচ্চপর্যারের কমিটি গঠন করা, ইত্যাদি।

এছাড়া তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।

উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন অনুষ্ঠান সঞ্চালক সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও  জনস্বাস্থ্য গবেষক লুবনা ইয়াসমিন। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য দেশেই সেবা গ্রহণ করতে এবং ছোটো-ছোটো অসুখ বিসুখের জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের দেখানোর আহবান জানান। কারণ তারাই সরকারি হাসপাতালের চালিকাশক্তি।

বিশেষজ্ঞদের কাছে রেফারেলের রোগীই শুধু দেখাবেন বিশেষ ও জরুরী প্রয়োজনে। রোগী হিসবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর সময় সিরিয়াল মেইনটেইন করবেন এই অনুরোধ তিনি রাখেন এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।