ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে নোমান গ্রুপের ২ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা
মামলা (প্রতীকী ছবি)

ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আসামির মানহানি মামলা

অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন মামলার আসামি।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির আহাম্মদ মানিকের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম।

এতে ধর্ষণ মামলার বাদী তরুণীকে প্রধান আসামি করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল হক টিপুসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মানিক বলছেন, ‘আমি রাজনৈতিক কোন্দলের শিকার। তরুণীর চাচা ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে আমি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাতিজিকে দিয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করেন। একই সঙ্গে মানহানি মামলার আসামিদের দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’

আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যান মানিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে (রামগঞ্জ) ১৯ জনের নামে মানহানি মামলা করেন। আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বশির আহাম্মদ মানিকের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২২ মার্চ ১৯ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ঘটনার ৪ মাস পর ২২ জুলাই মামলাটি করা হয়। এছাড়া একটি চক্র মামলার ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এতে মানিকের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

মামলাটি তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত। গত ১০ নভেম্বর সিআইডির পরিদর্শক মাসুকুল আলম ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক আশরাফ উদ্দিন সরদার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় তরুণী ঘটনার দুই মাস পর বিষয়টি সবাইকে জানানোর কথা বললেও সাক্ষীরা ঘটনার দিনই জেনেছেন। মামলায় লকডাউনে রামগঞ্জ থানার গেট বন্ধ করার কথা উল্লেখের বিষয় অসত্য বলে জানান ওসি আনোয়ার হোসেন।

জানতে চাইলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি একেএম ফজলুল হক বলেন, মানহানি মামলার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। তদন্ত চলছে। যথাসময়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।