হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

২০ কোটিতে প্রকৌশলীর দায়মুক্তি, নজর রাখবেন হাইকোর্ট

হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং ঘটনা অনুসন্ধান করার জন্য বলেছেন হাইকোর্ট। আদালত পর্যবেক্ষণে রাখবেন এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কী পদক্ষেপ নেন।

গত সোমবার (৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এমন কথা বলেছেন।

এদিন আদালতে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

এর আগে গত ৪ মার্চ হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চান আদালত।

সোমবার এ বিষয়ে শুনানির দিনে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং ঘটনা অনুসন্ধান করার জন্য বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আদালত বলেছেন ঘটনাটি নজরে রাখবেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

তিনি বলেন, ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে ৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ মৌখিকভাবে এই আদেশ দিয়েছিলেন। আজ সেটি শুনানির জন্য ছিল। দুদকের আইনজীবীকে এ বিষয়ে খবর নিয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল। সেটির বিষয়ে আদালত নজরে রাখবেন বলেছেন। সেই সঙ্গে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য অনুসন্ধান করতে বলেছেন আদালত। প্রয়োজনে দুদক সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলতে পারবে বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত ২ মার্চ ইনকিলাবে প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়- দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের পেছনে এ বাবদ তার খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকার বেশি।

গত ৪ মার্চ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চের নজরে এসেছে। পরে বিষয়টি সম্পর্কে আদালত দুদকের কাছে জানতে চেয়েছেন। দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খানকে আগামী ৮ মার্চ দুদকের পক্ষ থেকে বিষয়টির খবর নিয়ে জানাতে বলেছেন। আজ পত্রিকা দেখিয়ে এই মৌখিক নির্দেশনা দেন আদালত।