বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রিজিয়ন কমান্ডারসের সঙ্গে (চট্টগ্রাম, সরাইল ও কক্সবাজার রিজিয়ন এবং ময়মনসিংহ সেক্টর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টরস জেনারেল (ত্রিপুরা, মিজোরাম ও কাচার, মেঘালয় এবং গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) পর্যায়ে পাঁচ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন ১১ জুন (শুক্রবার) শেষ হয়েছে। নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মেলনে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
শনিবার সকালে বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সম্মেলনে সদর দফতরের রিজিয়ন কমান্ডার (দক্ষিণ-পূর্ব) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। আর ভারতের পক্ষ থেকে অংশ নেয় বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী সুশান্ত কুমার নাথের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের শুরুতে বিজিবি প্রতিনিধি দলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধানও একই কথার পুনরাবৃত্তি করে সীমান্ত সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের সীমান্ত সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা, গুলি, আহত, আক্রমণ, বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ, আটক, গ্রেফতার, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত লঙ্ঘন, অবৈধ অতিক্রম, অনুপ্রবেশ, ভারতীয় অপরাধী, চোরাকারবারী, দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা বিজিবি সদস্যদের ওপর আক্রমণ সম্পর্কিত ইস্যু, মাদক, নেশাজাতীয় দ্রব্য, মদ, অস্ত্র, গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ, নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধ, ভারত কর্তৃক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মেলনে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
উভয়পক্ষই বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।