ছবি: বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদরত-ই- খুদা মিলন

আদালত চত্বরে মারামারি: জামিন চাইতে এসে কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান

পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বারান্দা ও ক্যান্টিনে হাতাহাতি এবং মারামারির মামলায় তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদরত-ই- খুদা মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমান তাঁর জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কোর্ট চত্বরে মারামারির মামলায় মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় সরকার পক্ষের কোর্ট উপ-পরিদর্শক (সিএসআই) মিজানুর রহমান বিরোধিতা করলে আদালত জামিন নামন্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে একটি মামলার বিষয়ে চেয়ারম্যানসহ অপর পক্ষের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ সময় ১নং আসামি চেয়ারম্যান মিলন কোর্ট নেজারত শাখায় কর্মরত ক্যাশিয়ার সুমনকে মারার জন্য তেড়ে আসেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে সেখান থেকে কোনমতে চলে যায় দুই পক্ষ।

এর কিছুক্ষণ পর আদালত ক্যান্টিনে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে পুনরায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ তাদের আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে চেয়ারম্যান মিলনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটাছে।

এরপর সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, কর্মচারীকে বল প্রয়োগের হুমকিসহ আদালতে বিচারিক পরিবেশের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চেয়ারম্যান মিলনসহ ৭/৮ জনের নামে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।

সেই মামলায় হাইকোর্টের আদেশে দীর্ঘ ৬ সপ্তাহ জামিনে ছিলেন তিনি। এরপর আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।