কারাদণ্ডের বদলে ৬ মাস বিনা বেতনে গান শেখানোর 'সাজা'
আদালত (প্রতীকী ছবি)

ঈশ্বরদীর এসি ল্যান্ডকে আদালতের শোকজ

আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও এক নারীর মালিকানাধীন সম্পত্তির নামজারি করে না দেওয়ায়  ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) -এর ব্যখ্যা তলব করা হয়েছে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন পাবনার একটি আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালতসূত্রে জানা যায়, মোছাঃ শেফালী খাতুন তার মালিকানাধীন কিছু সম্পত্তি ভুলক্রমে তার নামে রেকর্ড না হয়ে সরকারের নামে রেকর্ড হয়েছে মর্মে দাবি করে ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ কোর্টে স্বত্ব ঘোষণার প্রার্থনায় ২৩৪/০১নং একটি মামলা দায়ের করে ডিক্রী পান।

বিবাদী সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ কোর্টে ৫৪/১৫নং আপিল মামলা দায়ের করে যা নামঞ্জুর হয়। সরকারপক্ষ এই আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপিল বা রিভিশন করেনি। বিধায়, উপযুক্ত কোর্টের রায়ের আলোকে মামলার জমিতে বাদীর মালিকানা চূড়ান্ত বলে ঘোষিত হয়।

বাদী এই রায়ের আলোকে ঈশ্বরদী উপজেলা এসি (ল্যান্ড) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, এসি (ল্যান্ড) তার নামে জমি নামজারি করে না দেওয়ায় বাদী পুনরায় তার নামে নামজারি করে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদানের প্রার্থনা করে ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ কোর্টে একটি বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেন।

সরকার পক্ষে পাবনার ডিসি, এডিসি (রাজস্ব), ঈশরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসি (ল্যান্ড) এই মামলা সমন পেয়েও প্রতিদ্বন্দিতা করেননি। বাদীর উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমানের আলোকে এই মামলায় বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফাসূত্রে ডিক্রী হয়।

কোর্ট এই ডিক্রির নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাদীর নামে জমি নামজারি করে দিতে এসি (ল্যান্ড)-কে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু, এই আদেশের পর বাদী পুনরায় নামজারির আবেদন করার পরেও সংশ্লিষ্ট এসি (ল্যান্ড) বাদীর নামে নামজারি করে দেননি।

এরপর বাদী এসি (ল্যান্ড) সহ অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার, সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় এবং ডিক্রী বাস্তবায়নের আদেশ প্রার্থনা করে একটি জারি মামলা দায়ের করেন।

একই সাথে আদালতের আদেশ অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছেন মর্মে দাবি করে আদালত অবমাননার দায়ের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।

ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ কোর্টের বিচারক এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে এসি (ল্যান্ড) এর ব্যখ্যা তলব করেন এবং একই সাথে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে মর্মে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন।