বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ

রায়ের জন্য প্রস্তুত নন, সময় নিলেন বিচারক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। মামলার ৫২ সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনা করা এবং রায় লেখা সম্ভব হয়নি, এজন্য বিচারক সময় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

আজ রোববার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান নতুন এ দিন নির্ধারণ করেন।

পরে আদালত প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মহামান্য বিচারক রায়ের জন্য প্রস্তুত নন বিধায় আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন। বিচারক বলেছেন, আবরার হত্যার রায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের দীর্ঘ শুনানিকালে এই মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় তিনি নতুন তারিখ ঘোষণা করেছেন।’

আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা জানেন এই মামলায় ৪৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। এছাড়া আসামিপক্ষে ছয়জন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। সর্বোমোট ৫২ জনের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করা ও রায় লেখা স্যারের (বিচারকের) জন্য সম্ভব হয়নি। তাই তিনি সময় নিয়েছেন।’

আগে কেন জানানো হলো না- এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকার কারণে (এমনটি হয়েছে)। এমনকি আমাকে কোনো নির্দেশনা দেননি যে তিনি রায় দিবেন কি না। আজকে তিনি রায়ের নতুন তারিখ ঘোষণা করলেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় আবরারের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বছর পর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৪ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর তারিখ রেখেছিলেন।

এই মামলায় অভিযুক্ত ২৫ আসামির সবাই বুয়েটের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের কর্মী। তিনজনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তিন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।