বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ বিচার বিভাগের জন্য হুমকিস্বরূপ: হাইকোর্ট
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ

ইতিহাস বিকৃতি রোধে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র পাঠ্যবইয়ে কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী ও এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম লাহেড়ি। আবেদনে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র যারা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও আইজিপিসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।