আইনজীবীকে মারধরের প্রতিবাদে পিরোজপুর বারের মানববন্ধন
আইনজীবীকে মারধরের প্রতিবাদে পিরোজপুর বারের মানববন্ধন

আইনজীবীকে মারধরের প্রতিবাদে পিরোজপুর বারের মানববন্ধন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমানেরকে মারধর ও তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে বুধবার (২ মার্চ) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকট হাকিম হাওলাদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য দেন, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি চণ্ডি চরণ পাল, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট ড. মোস্তফা কামাল, জেলা বার কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিলিপ কুমার মাঝি প্রমুখ।

ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা এ ঘটনায় জড়িদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সামনে ওই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম মতিউর রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

হামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান জানান, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে তিনি গাড়িতে করে উপজেলা থেকে বের হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ছেলের অসুস্থতার খোঁজ নিতে পিরোজপুর সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা সড়কে স্থানীয় সজীব হাওলাদারসহ অপরিচিত কয়েকজন তাঁর গাড়ির গতিরোধ করে।

সজীব হাওলাদার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের ওপর হামলা করেন। তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। এতে চেয়ারম্যান মতিউর রহমান আহত হন। সজীবের সঙ্গে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই বলে জানান চেয়ারম্যান।

উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান এর উপরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ইন্দুরকানী থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সজীব হাওলাদার এবং যুবলীগ সদস্য মামুনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক।

সজীব উপজেলার চারাখালী গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের ২০১৯-২০ সালের সাবেক সদস্য ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির (জাপা) অনুসারী বলে জানা গেছে।