আদালতের রায়ে বাজেয়াপ্ত যুদ্ধাপরাধীর বাড়ি পরিত্যক্ত সম্পত্তি

‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলী) আইন, ২০২২’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনের আলোকে আদালতের রায়ে যদি যুদ্ধাপরাধী ঘোষিত ব্যক্তির বাড়ি সম্পত্তি জব্দের নির্দেশনা দেওয়া হয় তাহলে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।

একইসঙ্গে নতুন আইন অনুযায়ী, পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি বণ্টন কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী, আগে সিদ্ধান্ত নিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। নতুন আইনে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুদ্ধাপরাধীর মামলায় যদি কেউ দণ্ডিত হতো, কোর্ট যদি তার জমিজমা-সম্পত্তি সিজ করে নেয়, তবে সেটাও পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে পড়বে, যেটা আগে ছিল না।

আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রমাণিত বা ঘোষিত কোনো ব্যক্তির বাড়ি বা সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে সংযুক্ত বা বাজেয়াপ্ত করে তবে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, সেজন্য আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে ছিল সরকার (সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়) এই বাড়িগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। এখন এখানে সংশোধনী আনা হয়েছে, সরকারপ্রধান এটা করবেন। এসব বাড়ির নিষ্পত্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সরকারপ্রধান (প্রধানমন্ত্রী)।