খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের 'না'
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াতে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে।

খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৬ মার্চ) সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর মত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, আগের শর্তে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মতামত দিয়েছেন তারা।

এদিন দুপুরে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে তো জামিন দেওয়া হয়নি, জামিন দেয় আদালত। যেটা করা হয়েছে সেটা হচ্ছে, দুই-আড়াই বছর আগে উনার জন্য পারিবারিকভাবে একটা দরখাস্ত করা হয়। সেটা কোনো আইনের উল্লেখ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে এটা আইনের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী তাকে তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এটা কিন্তু জামিন না, এটা মুক্তি।

তিনি বলেন, উনারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) আরেকটা দরখাস্ত করেছেন, এক্সটেনশনের (মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর) জন্য। সেই দরখাস্তটা আমার কাছে আসছে। আমরা পাঠিয়ে দেবো মতামত। সেই মতামত জানবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।

সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এর আগে মোট ৪ দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।

৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।