সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে কড়াকড়ি, সন্দেহ হলে তল্লাশি

সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে কড়াকড়ি, সন্দেহ হলেই তল্লাশি

বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে গেটগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

একইসঙ্গে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) প্রদর্শন করেই সবাইকে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে প্রবেশ করতে হচ্ছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই করা হচ্ছে তল্লাশি। এছাড়াও কী প্রয়োজনে কোর্টে এসেছেনসহ নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন অপরিচিতরা।

আজ রোববার (২৯ মে) সকালে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনের প্রবেশদ্বারসমূহে সরেজমিন ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের মাজার গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোর্ট অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করছি। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আইডি কার্ড দেখে অপরিচিতদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে চার নেতার মাজার সংলগ্ন ন্যায় সরণির গেট ও প্রধান ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র খোলা রাখা হয়েছে বার কাউন্সিল সংলগ্ন গেট, মাজার গেট ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন গেট।

এ বিষয়ে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, সুপ্রিম কোর্টের মূল গেট সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। মাজার গেট সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন মসজিদ গেট সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মৎস্য ভবনের পাশের এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সংলগ্ন আউট (বের হওয়ার পথ) গেট দিয়ে কেবল বের হওয়া যাবে। ওই গেট দিয়ে কোনো ধরনের গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া ন্যায় সরণি গেটটি (তিন নেতার মাজার সংলগ্ন) সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকবে। তবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন মসজিদ গেটে নামাজের মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য পাশের ছোট প্রবেশ পথ সবসময় খোলা থাকে। সেটি অব্যাহত থাকবে।

গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষ সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ছড়িয়ে পড়ায় কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওদিন বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, পুলিশের রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার (২৯ মে) থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের গেটগুলোতে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালত অঙ্গনে যাতে কোনো বহিরাগত লোক ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।