বন্যার্তদের সহযোগিতায় একদিনে ৭০ লাখ টাকা পেলেন ব্যারিস্টার সুমন

বন্যার্তদের জন্য সহযোগিতা চেয়ে একদিনে ৭০ লাখ টাকা পেলেন ব্যারিস্টার সুমন

সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য একদিনের ব্যবধানে ৭০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বানের পর দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে তার কাছে এই টাকা পাঠিয়েছেন।

আজ সোমবার (২০ জুন) সকালে হবিগঞ্জ থেকে ফেসবুক লাইভে এসে সুমন এসব তথ্য জানান।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে ভয়াবহ বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বন্যার্তদের সহায়তার জন্য আমি ও আমার পক্ষ থেকে সাহায্য করে আসছি।

গত পরশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছিলাম, আপনারা যে যেভাবে পারেন, আমাকে সহযোগিতা করেন। দেশে-বিদেশে সবার কাছে এই আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি বন্যার্তদের কাছে যেতে চাই।

‘আহ্বানে সাড়া দিয়ে একদিনের ব্যবধানে ৭০ লাখ টাকা পেয়েছি। এর মধ্যে প্রায় ৫২ লাখ টাকা আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। বাকি ১৮ লাখ টাকা আসার পথে।’

মানুষের এমন স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে, আজকের পর থেকে আমার দায়িত্ব অনেক বেশি বেড়ে গেছে। সবাই আমাকে এত বিশ্বাস করেছেন, এটা আমার জীবনের বড় পাওয়া। এজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

মানুষের এই বিশ্বাস বড় অর্জন উল্লেখ করে  সুমন বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের এই টাকা আমার ফুটবল টিমের সদস্যদের নিয়ে সুষ্ঠুভাবে বন্যার্তদের মাঝে বণ্টন করব। ফুটবল টিমের সদস্যরাও বন্যার্তদের কষ্ট লাঘবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের কষ্টের টাকায় কেনা সামগ্রী আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসব। আপনারা আমাকে বিশ্বাস করে মাত্র একদিনের ব্যবধানে ৭০ লাখ টাকা দিয়ে দিলেন, একটা মানুষের জীবনের এর চেয়ে আর বড় অর্জন হতে পারে না।

এই টাকা খরচের হিসাব রাখা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ এই সহযোগিতা পাঠিয়েছেন। এখন আমার দায়িত্ব হলো আপনাদের প্রতিটি টাকা কীভাবে খরচ হলো, সেটার হিসাব রাখা। যারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একে অন্যকে বিশ্বাস করে না, তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস না করলে একদিনের ব্যবধানে ৭০ লাখ টাকা কীভাবে একজনের কাছে চলে আসে? আমি এই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব।

লাইভে সুমন বলেন, দেশের প্রবাসী যারা এই টাকা পাঠিয়েছেন, এক দেড় টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পযন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এটা বিশ্বাসের ফল। জীবনের কর্মকাণ্ড আর দর্শনে বিশ্বাস রাখেন তারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমরা সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। সবাই দোয়া করবেন।