ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারক প্রত্যাহারের দাবিতে আদালত বর্জন করল আইনজীবীরা
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আদালতে বিচারপ্রার্থীর বিয়ে সম্পন্ন করলেন বিচারক, দিলেন উপহারও

দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক, তারপর কাবিন ছাড়াই ধর্মীয় রীতিতে হয় বিয়ে। যদিও কথা ছিল বিয়ের পর বরপক্ষ কাবিন করবে। কিন্তু পরে নানা টালবাহানা শুরু করে বরপক্ষ। কাবিনের প্রসঙ্গ নিয়ে কনেপক্ষ বার বার তাগাদা দিলেও তা এড়িয়ে যায় বরপক্ষ।

অগত্যা কনেপক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে মামলা করা হয় আদালতে। সব শুনে বিচারক নিজেই দায়িত্ব নিলেন। বরপক্ষকে বুঝিয়ে খাস কামরায় সম্পন্ন করেন বিয়ের কাবিননামা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ধর্মীয়ভাবে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের ইকবাল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৮) ও একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাসেল মিয়ার (২৪) বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে তখন বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।

কিন্তু বিয়ের ক’দিন যেতে না যেতেই স্বামী রাসেল মিয়া কাবিন করা নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। এ ঘটনায় সাদিয়া চলতি বছরের ৫ এপ্রিল আদালতে মামলা দায়ের করেন। আসামি হাজিরা দিয়ে জামিন চাইলে, তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

গতকাল বুধবার (৬ জুলাই) ছিল এ মামলার তারিখ। এদিন আদালতে আসামি হাজির হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী নিজে উদ্যোগ নিয়ে তাদের কাবিন করিয়ে দেন।

বর রাসেলকে বুঝিয়ে খাস কামরায় ডেকে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে কাবিননামা করে পুনরায় দু’জনের বিয়ে দেন। এসময় বিচারক নিজে কনেকে শাড়ি ও বিয়ের অন্যান্য উপহার দেন। আদালতের এমন উদ্যোগে উপস্থিত সবাই খুশি।