যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট
যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট

আপিল খারিজ, কারাগারেই থাকতে হচ্ছে সম্রাটকে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে আজ বুধবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের ওপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।

আদালতে সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গত ৮ আগস্ট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

গত ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

তার আগে ১৮ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন। অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলার পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিনের পর সম্রাটের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী।

সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলো হলো- অস্ত্র, মাদক, অর্থপাচার এবং দুদকের দায়ের করা মামলা।

সবশেষ গত ১১ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের করা মামলায় জামিন পান সম্রাট। ক্যাসিনোকাণ্ডে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় আগামী ৯ জুন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।