মানবতাবিরোধী অপরাধ : নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে রায় মঙ্গলবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

মানবতাবিরোধী অপরাধ : নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে রায় মঙ্গলবার

মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের (পলাতক) বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ মামলার রায় করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

এর আগে গত ১৮ জুলাই চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শেষ হয়।

শুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিল ৫ জন। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বাকি চার আসামি হলেন- নেত্রকোণার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ। তবে বিচার চলার সময়ে মো. খলিলুর রহমান ছাড়া বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপূর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চার জনের মধ্যে দুই জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।