বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি, কর্নেল রশিদের জামাতার ৭ বছরের কারাদণ্ড

বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি ও তার খুনিদের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি কর্নেল রশিদের মেয়ে শেহনাজ রশিদ খানের জামাতা মো. ফুয়াদ জামানকে (৪৩) ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত, ২০১৩) এর ৫৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামির নাম মো. ফুয়াদ জামান (৪৩)। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের মেয়ে শেহনাজ রশিদ খানের স্বামী।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে ফুয়াদ ফেসবুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি করেন। সেই সঙ্গে আদালতের রায়ে প্রমাণিত হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানান।

এ ঘটনায় ২৩ আগস্ট ধানমণ্ডি মডেল থানায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ, আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য নাজমুল হাসান পিয়াস নামে এক ব্যক্তি এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি এবং হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকে ১৫ আগস্ট একটি পোস্ট দেন ফুয়াদ। বিষয়টি জাতির পিতার প্রতি ‘চরম অসম্মান ও মানহানিকর এবং উসকানিমূলক’।

এরপর একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ফুয়াদ জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলায় ২০১৯ সালের ৪ জুলাই পুলিশ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরবর্তীতে আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন। শুনানিকালে মোট ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সকল বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ রায় ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের মৃত্যুদণ্ড ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয়।