সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম

কর্মজীবনের আগামী সময়টুকু দেশ ও জাতির সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই: বিচারপতি জাহাঙ্গীর

কর্মজীবনের আগামী সময়টুকু দেশ ও জাতির সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই। সততা, কর্তব্য-নিষ্ঠা আর পরিশ্রম দিয়ে আগের মতোই নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম আজ রোববার (১১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে সংবর্ধনার জবাবে এ মন্তব্য করেন।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বলেন, বিশ্বাস করি ঐক্যবদ্ধ কাজ যে কোনো ধরনের সংকট দূরীভূত করে সমাজকে পরিচ্ছন্ন করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর এজন্য প্রয়োজন মানবিক ভ্রাতৃত্ববোধ। সেই সঙ্গে হতে হবে নির্লোভ ও ত্যাগী।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সেই আদর্শের পথেই আমাদের উজ্জ্বীবিত করে গেছেন। আমরা প্রত্যেকেই তার আদর্শ ধারণ এবং লালন করে নিজেকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারি।

তিনি বলেন, ‘কর্মজীবনের আগামী সময়টুকু দেশ ও জাতির সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই। সততা, কর্তব্য-নিষ্ঠা আর পরিশ্রম দিয়ে পূর্বের মতোই নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই এই মহান পেশায়। আল্লাহ্ পাক সহায় হোন।’

সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।

সুপ্রিম কোর্টের রীতি অনুযায়ী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির নতুন বিচারপতিদের গৌরবময় কর্মজীবন পড়ে শোনান।

এরপর সংবর্ধনার জবাবে আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তার নির্দেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি ছিলেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগের মাধ্যমে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল নয় জনে।