আদালতের এজলাসে বহিরাগতের ব্লেডের আঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
মুন্সিগঞ্জ আদালতে পুলিশের ওপর হামলাকারী জালাল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

আদালতের এজলাসে বহিরাগতের ব্লেডের আঘাতে পুলিশ সদস্য আহত

আদালতের এজলাস কক্ষে এক বহিরাগতের ব্লেডের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এতে ওই পুলিশ সদস্য শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আদালতের এজলাস থেকে হামলাকারীকে আটক করেন।

আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় হামলাকারী জালাল হোসেন ও তার স্ত্রী রীনা বেগমকে (৩০) আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মোহাম্মদ আলী বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমানের এজলাসে একটি মামলার সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় জালাল এজলাস কক্ষে পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ আলীকে জাপটে ধরে তার জবানবন্দি নেওয়ার দাবি জানান।

এ নিয়ে এজলাসের গেটে পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় তর্কে জড়ান ওই ব্যক্তি। উপস্থিত কয়েকজন তাকে নিরস্ত গেলে তিনি তার হাতে থাকা ব্লেড দিয়ে মোহাম্মদ আলীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা জালালকে আটক করেন।

মুন্সিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ জামাল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি। জামাল হোসেন বলেন, দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এদিকে হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আদালতের স্টেনোগ্রাফার নাজমুল হোসেন বলেন, হামলাকারী জালাল ওই মামলার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নয় বলে জানতে পেরেছি।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম এ কালাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কোর্ট থেকে এক আহত পুলিশ সদস্যকে আনা হলে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন (অর্থ) সুমন দেব জানান, দুপুরে এক বহিরাগত এসে আদালতের ভেতর পুলিশ সদস্যকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে। আহত পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় হামলাকারী জালাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তবে সে কেন আদালতে ঢুকে পুলিশ সদস্যকে হামলা চালিয়েছে এই নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।