গরীবের আইনজীবীর জন্মদিনে গণভোজ ও দোয়া মাহফিল
জন্মদিনে মরহুম আবদুল বাসেত মজুমদার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত গণভোজ ও দোয়া মাহফিল

গরীবের আইনজীবীর জন্মদিনে গণভোজ ও দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আইনজীবী নেতা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদারের ৮৫তম জন্মদিন আজ। তাঁর জন্মদিনে মরহুম আবদুল বাসেত মজুমদার স্মৃতি পরিষদ গণভোজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। এদিন বেলা দেড়টায় বনানী ১৫ নং মাঠে গণভোজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

গরীবের আইনজীবী হিসেবে খ্যাত অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার লালমাই (ওই সময় ছিল লাকসামের অধীনে) উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রয়াত বর্ষীয়ান আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের বাবা ছিলেন আব্দুল আজিজ মজুমদার ও মা জোলেখা বিবি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়ার পর তিনি আইন পেশায় যোগ দেন।

১৯৬৬ সালে (১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন) আইনজীবী হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। নির্ধারিত বেতন-ভাতাহীন কঠিন পথযুক্ত আইন পেশায় বিচারপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ান একাধারে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে। ছিলেন জুনিয়র আইনজীবীবান্ধব নেতা। তার নেতৃত্বের প্রশংসা আদালতপাড়ার কমবেশি সবাই করেন। ভালো আইনজীবীর পাশাপাশি দক্ষ নেতৃত্বও ছিল তার মধ্যে।

২০০১-০২ সেশনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন প্রবীণ এই আইনজীবী।

শুধু আইনজীবীই নন, রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত ছিলেন সমানতালে। মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক।

১৯৬৭ সালে (১৯৬৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন) আইনাঙ্গনে যাত্রা শুরু করে বাসেত মজুমদার গরিব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে গেছেন। দুস্থ আইনজীবীদের জন্য নিজের নামে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছেন। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতিতে এই ফান্ড থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পেশাজীবনে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে আইনি সহায়তা দিয়েছেন।

আব্দুল বাসেত মজুমদার ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।