ফেনী বার নির্বাচনে আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ১১, সমন্বয় ৪ পদে জয়ী
ফেনী আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন নেতাকর্মীরা. ছবি : আর কে তুহিন

ফেনী বার নির্বাচনে আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ১১, সমন্বয় ৪ পদে জয়ী

ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১১টি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের নিয়ে গঠিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা। একজন সহসভাপতি, তিনজন সদস্যসহ চারটি পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীদের সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা।

গতকাল শনিবার (২১ জানুয়ারি) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১১টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

উৎসবমুখর এ নির্বাচনে দুই প্যানেলর প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় মাত্র একটি ভোট। সমিতির ১৫টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থিত একজন সহসভাপতি আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

ঘোষিত ফলাফলে বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থিত সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মো. আবুল বশর চৌধুরী ১৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ–সমর্থিত মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার পান ১৩৯ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের আমিনুল করিম মজুমদার ১৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন। সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আহসান কবীর ১৫৮ ভোট পান।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম ১৫১ ভোট, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন কমল ১৬৯ ভোট, অডিটর পদে নাজমুল হোসেন ১৬৩ ভোট, অর্থ সম্পাদক পদে মো. রিয়াজ উদ্দিন সুজন ১৭৯ ভোট ও লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. মাহামুদুল হাসান ১৬৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।

কার্যকরী কমিটির ছয় সদস্য পদে বিএনপি-জামায়াতসমর্থিত তিনজন প্রার্থী জয়লাভ করেন। তাঁরা হলেন জিয়াউল হায়দার, নিজামুল আলম ও মোহাম্মদ ইউছুপ। আওয়ামী লীগ–সমর্থিত জয়ী তিনজন সদস্য হলেন কাজী বুলবুল আহমেদ, আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম।

নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন। তাঁরা নির্বাচনের এ ফলাফল নিশ্চিত করেন। নির্বাচনে ১৫টি পদে দুটি প্যানেল ছাড়াও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে ৩২৮ জন ভোটারের মধ্যে ৩২০ জন ভোট দেন।