রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম (ফাইল ছবি)
রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম (ফাইল ছবি)

সাহেদ করিমের ৩ বছরের কারাদণ্ড, লাখ টাকা জরিমানা

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ডের এই টাকা আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনরে (দুদক) দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হল। একই আইনের ২৭ (১) ধারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন (জাহাঙ্গীর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন রায় ঘোষণার আগে সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনসাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভদ্রবেশী অপরাধীদের জন্য একটি বার্তা

এর আগে গত ১০ আগস্ট এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বিচারক এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক। এ সময়ে তিনি সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল।

তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঅস্ত্র মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়।

পরে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল এ মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে মোট দশজন সাক্ষীর মধ্যে দশজনই বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।