অ্যান্টিবায়োটিক ‘ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস’ ওষুধ নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট
অ্যান্টিবায়োটিক ‘ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস’ ওষুধ নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট

অ্যান্টিবায়োটিক ‘ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস’ ওষুধ নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট

মানহীন হওয়ায় জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস -এর ব্যথানাশক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস উৎপাদন, বিক্রি ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মানহীন এই ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহারে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

জনস্বার্থে দায়ের করা এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত এই ব্যথানাশক ওষুধ ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস উৎপাদন করে আসছিল জেনিথ ফার্মা। তবে মানহীন হওয়ায় জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ন্যাপ্রোক্সেন প্লাসের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করে ওষুধটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করার জন্য জেনিথ ফার্মাকে নির্দেশ দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে এই ওষধের উৎপাদন, বাজারজাত, সংরক্ষণ, বিতরণ ও বিক্রিয় নিষিদ্ধ করা হয়।

জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ সই করা একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

যাতে বলা হয়েছে, উৎপাদিত ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস ৫০০+২০ ট্যাবলেট মানহীন। চলতি বছরের ২২ মে ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি (এনসিএল), মহাখালী ঢাকা এই ওষুধকে মানহীন ঘোষণা করেছে। এরই প্রেক্ষিতে ৫ জুন জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। জেনিথ ফার্মা থেকে সেই নোটিশের জবাব দেয়া হয়, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

মান-বহির্ভূত বা মানহীন ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ ঔষধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ-১৯৮২ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধারা অনুসারে জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের লাইসেন্সভুক্ত ওষুধ ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস ৫০০+২০ রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হলো। রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা ঔষধটি উৎপাদন, বাজারজাত, সংরক্ষণ, বিতরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঔষধটি জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব চ্যানেলে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে অধিদপ্তরকে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কিন্তু ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওই নির্দেশনার পরও ব্যথানাশক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস বাজার থেকে প্রত্যাহার না করায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মহসিন কবির রকি। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।