রমজানে অধস্তন আদালতের সময়সূচি নির্ধারণ
আদালত (প্রতীকী ছবি)

৫৪ জেলায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন

দেশের ৫৪ জেলায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে সরকার। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ধারা ১৪৫বি এর উপধারা (১) ও (২) এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এসব ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ২৩ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাসুম সই করা গেজেট প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

একইসঙ্গে ১৩ জেলায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ধারা ১৪৫এ এর উপধারা (১) ও (২) এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এসব ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। পৃথক একটি গেজেট প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন) সংশোধন করা হয়। সংশোধিত আইনের নাম দেওয়া হয়েছে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট (অ্যামেনমেন্ট), ২০২৩। আইনটির গেজেট গত ১১ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে।

সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, ভূমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজরা। এ ছাড়া প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিচারক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

আগে আইনে ছিল, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত না হওয়ায় ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।

আর ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে এতদিন আইনে বলা ছিল, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে যুগ্ম জেলা জজকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেবে সরকার। এখন এই বিধানের সঙ্গে নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, এভাবে বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজের ক্ষমতা দিতে পারবে সরকার। তার মানে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এখন ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

এ ছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবেও সরকার নিয়োগ দিতে পারবে বলে নতুন বিধান যোগ করা হয়েছে।